সংবাদদাতা, বোলপুর: গত ২৭ জুন জবরদখল সরানোর প্রক্রিয়ার অভিযান এক মাসের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই অভিযান এখনও চালানোর অভিযোগ উঠেছে বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে। সেই বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়। সরাসরি না বললেও পরোক্ষভাবে বোলপুর পুরসভার এই পদক্ষেপকে তিনি সমালোচনা করেন। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলেও স্মরণ করিয়ে দেন। বুধবার, বোলপুর মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন জেলাশাসক। 
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের সব পুরসভায় একমাসের জন্য হকার ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের জবরদখল সরানোর প্রক্রিয়ায় স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই এক মাসে সার্ভে করে দেখা হবে, কোথায় কত হকার ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। সেই সংখ্যা নির্ধারণের পর তাঁদের জন্য উপযুক্ত জায়গার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে তাঁরা রোজগারের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যাতে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন, তা দেখা হবে‌। প্রশাসন ও পুরসভার যে সকল আধিকারিক রয়েছেন তাঁদের এই বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। 
জেলাশাসক বলেন, আইন মোতাবেক টাউন ভেন্ডিং কমিটি তৈরি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে সকলেই অনলাইন মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন। তারপরেও জেলার প্রত্যেক মহকুমার মহকুমা শাসক, পুরসভার চেয়ারম্যান, বিডিও সহ সকল স্তরের আধিকারিকদের এবিষয়ে ব্যাখ্যা করে দেওয়া হয়েছে। আশা করি, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ ও ভাবনা সবাই মেনে চলবেন। কেউ যদি সেই নির্দেশ না মানেন সেই বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করা হবে। 
যদি এবিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন, হকারদের সরানোর প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এমনকী, তাঁরা অস্থায়ীভাবে ব্যবসা করছেন সেখানে পুরসভা হস্তক্ষেপ করছে না। তবে সরকারি জায়গায় স্থায়ী নির্মাণ করে অনেকে ব্যবসা চালাচ্ছেন, সেখানে অভিযান জারি রয়েছে। বোলপুর পুরসভা ছোট ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে ওয়াকিবহাল। ‌খুব দ্রুত সেই ব্যবস্থা করতে আমরা দায়বদ্ধ।
 জেলাশাসক ও পুরসভার বক্তব্যে, স্বস্তি ফিরেছে হকারদের মধ্যে। তাঁদের আশা, আপাতত তাঁদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকল না। তাছাড়া ব্যবসা করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হলে তাঁরা আইন মেনে সুস্থভাবে ব্যবসা করতে পারবেন না।