উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
ইদানিংকালে হাড়হিমকরা ডাকাতির ঘটনাগুলির মধ্যে চাঁচলে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ছ’মাস আগে সেখানকার একটি সোনার দোকানে অপারেশন চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। তারা প্রায় ছ’কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কর নিয়ে পালানোর সময় বোমবাজি করে। তাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়। দেড়বছর আগে রায়গঞ্জে শিলিগুড়ি মোড়ে একটি বহুজাতিক সংস্থার সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভর দুপুরে সেই অপারেশন চালানো হয়। ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট শিলিগুড়ি শহরের বর্ধমান রোডে একটি স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় অপারেশন চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই সংস্থা থেকে প্রায় ৪৫ কেজি সোনার গয়না লুট করা হয়। সেই সময় যার বাজার দর ছিল প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
ঘটনাগুলির সঙ্গে সুবোধের সাগরেদরা জড়িত বলেই গোয়েন্দাদের সন্দেহ। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, মালদহ ও শিলিগুড়ির দু’টি ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার দুষ্কৃতীদের যোগসূত্র মিলেছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ধরাও পড়েছে। রায়গঞ্জের ডাকাতির ঘটনায় এখনও কেউ ধরা পড়েনি। প্রতিটি অপারেশনের স্টাইল, পারিপার্শ্বিক তথ্য ও প্রমাণ থেকেই মনে হচ্ছে ঘটনাগুলির নেপথ্যে গ্যাংস্টার সুবোধ জড়িত। বিউড় জেল থেকে সে ঘটনাগুলি নিয়ন্ত্রণ করেছে। কিংবা তার শিবিরে প্রশিক্ষণ নেওয়া দুষ্কৃতীরা ঘটনাগুলির সঙ্গে জড়িত। কাজেই উত্তরবঙ্গের মালদহ থেকে কোচবিহার পর্যন্ত প্রতিটি জেলে সুবোধের সাগরেদ রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। গোয়েন্দা অফিসারদের বক্তব্য, ওই ঘটনাগুলি নিয়ে গ্যাংস্টার সুবোধের ভূমিকা কি ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পর এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিসের এক অফিসার জানান, উত্তরবঙ্গে সুবোধের নেটওয়ার্ক সম্পর্কেও খোঁজ চলছে। এজন্য বিভিন্ন জেলে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বেউড় জেল থেকে সুবোধকে সিআইডি হেফাজতে নিলেও সোনার দোকান ও স্বর্ণবন্ধকী সংস্থায় ডাকাতি রুখতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে উত্তরবঙ্গ পুলিস। ইতিমধ্যে তারা প্রতিটি জেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সোনার দোকানে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি দোকানের সামনে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটও একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।