উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
পুরুলিয়া থেকে তোলা সিমকার্ড থেকে একাধিক সাইবার প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে সাইবার থানার পুলিস তদন্তে নামে। মোট ১৬টি সিম কার্ড নিয়ে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয় বলে পুলিস জানতে পারে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় গত ৩০ জুন পুরুলিয়া শহরের গাড়িখানা এলাকার বাসিন্দা অপূর্বকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সিমকার্ড দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছিল। তাকে হেফাজতে নিয়েই সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস রাহুলের খোঁজ পায়। রাহুলের বাড়ি পুরুলিয়ার মফস্সল থানার শিহলি গ্রামে। সে পুরুলিয়া শহরে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির কাজ করত। বাইরে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে পরিচিত হলেও বেশ কয়েক বছর ধরে সে সাইবার প্রতারণায় হাত পাকিয়েছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। সে অন্যের নামে তোলা সিম কার্ড ও মোবাইল নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে ভাড়া নিত। সেই সিম কার্ড ব্যবহার করেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যেও সে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল। এমনকী প্রতারণার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও সে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করত না। সিম কার্ডের মতোই নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে পুরুলিয়া থেকে বেশকিছু অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েছিল। প্রতারণার টাকা ওই অ্যাকাউন্টেই জমা হতো। পরে সেখান থেকে টাকা সে নিজের জিম্মায় নিত।
সাইবার ক্রাইম থানার এক আধিকারিক বলেন, সামান্য ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি হয়েও রাহুল নিখুঁতভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়ে ছিল। তার প্রতারণা করার পদ্ধতি আমাদের চমকে দিয়েছে। অনেকে জেনেবুঝেই লোভে পড়ে তাকে সিম কার্ড ভাড়া দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। আবার কেউ কেউ জানতই না যে তাদের নামে সিম কার্ড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চক্র চলছে। মূলত ফোন করে অন্যের তথ্য জেনে অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়া হতো। এই প্রতারণা চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।