উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ইন্দপুরের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন বিকেলে ইন্দপুরের জিওড়দা গ্রামের বাসিন্দা মোটর বাইক মেকানিক রাজকিশোর সিংহের দেহ পাওয়া যায় মাঠে। ওইদিন সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু দীর্ঘ সময় আর বাড়ি ফেরেননি। বিকেলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মৃত অবস্থায় মাঠে পড়ে থাকতে দেখেন। দেহ দেখার পর গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যরা পুলিস কুকুর এনে তদন্ত চালানোর আর্জি জানান। রাতে বাঁকুড়া জেলা পুলিস কুকুর নিয়ে গিয়ে তদন্ত করে। পরে গভীর রাতে দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন মৃতের স্ত্রী মিতালি সিংহ ইন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস এক অভিযুক্ত সেবানন্দ সিংহকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয়। পুলিস জানিয়েছে, সেবানন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই প্রণব সিংহের হদিশ মেলে। ইন্দপুর থানার পুলিস গত ২৯ জুন প্রণবকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিসের কাছে খুনের কথা কবুল করে নেয় প্রণব বলে দাবি।
পুলিস জানিয়েছে, প্রণবের সঙ্গে রাজকিশোর মদ্যপান করতেন। একইভাবে তার সঙ্গে পুরনো শত্রুতাও ছিল। ঘটনার দিন রাজকিশোরকে খুন করে প্রণব। পরে তাঁর প্যান্টের পকেটে থাকা প্রায় পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্যান্টটি ঝোপে ফেলে দেয়। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। প্রণব তা অভিনয় করে দেখিয়েছে।
পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, মৃতের প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছে। তারসঙ্গে অন্যতম অভিযুক্ত সেবানন্দের ধুতিও পাওয়া গিয়েছে। তবে টাকা মেলেনি। খুনের পর তারা রাজকিশোরকে সেখানে ফেলে রেখে পালায়।
পুলিস সুপার বলেন, ওইদিন মদ্যপ অবস্থায় দুজনের মধ্যে ঝামেলা হয়। শারীরিকভাবে রাজকিশোর দুর্বলও ছিলেন। ফলে মারধরের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতদেহের অংশ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। মৃতের এক খুড়তুতো ভাই কাঞ্চন সিংহ বলেন, প্রণবের সঙ্গে রাজকিশোরের পুরনো বিবাদ ছিলই। হুমকি দিত। পুলিস তদন্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা চাই দোষীর শাস্তি হোক।