কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
বাঁকুড়া স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, ওই শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়মিত ফলোআপ করা হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড বসছে। অটিজম চিহ্নিত হলে ব্লকের সিডিপিও’র কাছে তার রেকর্ড থাকবে। এছাড়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পরিবারের কাছেও রেকর্ড রাখা হবে।
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এর আগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের অটিজম চিহ্নিত করা হতো না। ফলে সেখানে কোনও অটিস্টিক শিশু থাকলে চিহ্নিত হতে সময় লেগে যেত। ওই শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও সমস্যায় পড়তেন। এবারই প্রথম অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের অটিজম আছে কিনা-তা দেখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কম বয়স থেকেই তাদের চিকিৎসা শুরু করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানিয়েছে, এজন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পাঠরত শিশুদের উপর বিশেষ সার্ভে করা হয়। সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশাসন ওই সমীক্ষা চালায়। নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন তৈরি করে শিশুদের পরীক্ষা করা হয়। ৩১৫জন শিশুর সম্ভাব্য অটিজম আছে বলে চিহ্নিত করা হয়। এবার মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে ওই শিশুদের চূড়ান্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল ও খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড শিশুদের বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি মেডিক্যাল বোর্ড বসেছে। ২০ জুন থেকে জেলায় এই মেডিক্যাল বোর্ড বসানো চলছে। এখনও অবধি প্রায় ২০ শিশুর অটিজম রয়েছে বলে চিকিৎসকরা চিহ্নিত করেছেন।
সমাজকল্যাণ ও স্বাস্থ্যদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি হচ্ছে। এজন্য প্রশাসনই শিশু ও তার অভিভাবকদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করছে। এক আধিকারিক বলেন, আগস্ট মাসের মধ্যেই এই বিশেষ শিবির শেষ হবে। যে সব শিশুর অটিজম রয়েছে বলে চিহ্নিত হবে, তাদের তাড়াতাড়ি প্রতিবন্ধী শংসাপত্র করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা ও রাজ্য সরকারের মানবিক প্রকল্পের আওতায় এনে মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থাও করছে জেলা প্রশাসন। সমীক্ষায় চিহ্নিত হওয়া বাকি শিশুদের অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা-তাও বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখছেন।