কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
গত বছর আরামবাগ মহকুমার বহু মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনেকেই ভর্তি ছিলেন। ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। মহকুমা প্রশাসন ডেঙ্গু মোকাবিলায় এবার আগে থেকেই সতর্ক। ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকা পালনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পুরসভা এলাকা ছাড়াও ব্লকের পঞ্চায়েতগুলিতে জঞ্জাল ও আবর্জনা পরিষ্কারে বাড়তি উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সচেতনতা প্রচারের উপর জোর নিতে বলা হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ পুরসভা ও প্রশাসনের কাজ শুধু খাতায় কলমে। বাস্তবে কাজের কাজ হয় না। শহরের আমতলা মোড়, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘন জনবসতি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি নালার জল জমে আছে। মশা, মাছির উপদ্রবে টেকা যাচ্ছে না। পুরসভাকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। অন্যান্য জায়গার অবস্থাও তথৈবচ। বেনেপুকুর এলাকার বাসিন্দা গৌতম অধিকারী বলেন, এই এলাকা ঘন জনবসতিপূর্ণ। নিয়ম না মেনে বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। নিকাশি নালার জল বের হতে পারছে না। গতবছর এই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপরেও পুরসভার হুঁশ নেই।
মহকুমা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, গত বছর জেলার অন্যান্য জায়গার তুলনায় আরামবাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ তুলনামূলক কম ছিল। প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি। বাইরে থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে এদিন ডেঙ্গু প্রতিরোধে বৈঠক হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকা মেনে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল চত্বর, সব্জি বাজার ও নিকাশি নালা পরিষ্কারের কাজ চলছে। বহুতল ভবনের ছাদে জল জমে আছে কি না, তা ড্রোন দিয়ে দেখা হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারী বলেন, পুরসভা থেকে ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চত্বর পরিষ্কার করা হচ্ছে। সদর বাজারে জমে থাকা নিকাশি নালার জল বের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমতলা ও বেনেপুকুর এলাকা ছাড়াও যেসব জায়গায় জল জমে আছে, তা দ্রুত বের করার ব্যবস্থা হবে।