সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর ও রঘুনাথপুর: সোনামুখীর নাড়াডাঙা গ্রামে বজ্রাঘাতে এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম লক্ষ্মী হাঁসদা(৫১)। বাজ পড়ে তাঁদের খড়ের পালুইয়ে আগুন ধরে যায়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে বাড়ির কাছে নালা পরিষ্কারের সময় বাজ পড়লে লক্ষ্মীদেবী গুরুতর জখম হন। তাঁকে সোনামুখীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৃতের ভাইপো সোমাই হাঁসদা বলেন, রবিবার বিকেলে বৃষ্টি হচ্ছিল। কিছুটা কমতেই জল যাতে না জমে সেই জন্য কাকিমা একটি লাঠি দিয়ে বাড়ির পাশে নালা পরিষ্কার করছিলেন। কিছুক্ষণ পর কাকিমার এক মেয়ে বাড়ি থেকে খড়ের পালুইয়ে ধোঁয়া বেরতে দেখে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়। ডোবা থেকে বালতি করে জল নিয়ে আমরা আগুন নেভায়। পরে পালুইয়ের আড়ালে কাকিমাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়। 
সাঁতুড়িতে বাজ পড়ে জখম দুই বধূ: রবিবার সাঁতুড়ি থানা এলাকার ভেটি গ্রামে বাজ পড়ে দুই গৃহবধূ গুরুতর জখম হয়েছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম দুই বধূ রুকসানা বিবি ও আনজুম বিবি রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনায় দু’টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন বিকেলে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। বজ্রবিদ্যুৎ সহ ব্যাপক বৃষ্টি নামে। পাশাপাশি বাড়ির দুই গৃহবধূ বাড়িতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বাজ পড়লে তাঁরা জখম হন। তাঁরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরিবারের সদস্যরা দু’জনকে উদ্ধার করে মুরাডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এছাড়া ওই গ্রামেরই এক ব্যক্তির বাড়ির গোয়ালে বাঁধা দু’টি গোরুর মৃত্যু হয়। সাঁতুড়ির বিডিও পার্থ দাস বলেন, বিষয়টি জানার পরই জেলায় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।