কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর পুরসভায় ১৩টি ওয়ার্ডজুড়ে প্রচুর সরকারি সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু, বিভিন্ন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে তা ব্যবসা করছেন। এতদিন পুরসভা এবিষয়ে তেমন মাথা ঘামায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর পুর প্রশাসনের ঘুম ভেঙেছে। শহরজুড়ে কোথায় কোথায় পুরসভার নিজস্ব সম্পত্তি রয়েছে, সেই বিষয়ে খতিয়ান তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ করতে গিয়েই মিশন রোডের জমিটির বিষয়টি পুরসভার নজরে আসে। এদিন তা নিজেদের আওতায় আনার জন্য পুর কর্তৃপক্ষ এলাকায় যায়। রঘুনাথপুর মহকুমার ডিএমডিসি অমিত জ্ঞান, রঘুনাথপুর-১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক বিক্রম মুখোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান তরণী বাউরি, রঘুনাথপুর থানার আইসি অর্ঘ্য মণ্ডল সহ অন্যান্যরা এদিন ওই এলাকায় যান।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিটি পরিদর্শনে গিয়ে আধিকারিকরা দেখেন তা সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা রয়েছে। একটি সদর দরজা রয়েছে। সেই দরজায় তালা দেওয়া ছিল। পুলিসের উপস্থিতিতে পুরসভার কর্মীরা তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। পরিদর্শনের পর সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। দরজায় ও দেওয়ালে ‘জমিটি পুরসভার, তাই কেউ কোনওরকম ব্যবহার করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফুটপাত এলাকাটি পুরসভা দখলমুক্ত করেছে। সেখানে কয়েকটি দোকানের কিছু অংশ ফুটপাতের মধ্যে রয়েছে, সেগুলি শীঘ্রই ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
চেয়ারম্যান তরণীবাবু বলেন, পুরসভার জায়গা সংক্রান্ত তথ্য দেখতে গিয়ে জমিটির বিষয়টি নজরে আসে। প্রায় ১০০ ডেসিমল জায়গা। আমরা জানতে পেরেছি কেউ বা কারা দীর্ঘদিন ধরে জমিটি নিজেদের কাজে ব্যবহার করছিল। তাই এদিন জমিটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। জমিটি আমরা নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছি। সমস্ত কাগজপত্র ঠিক করা হচ্ছে। ওই জমির উপর আগামী দিন দৈনিক হাট ও ফুটপাতের দোকানদারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা যাতে করা যায়, সেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। শুধু ওই জমিটিই নয়, আগামী দিন পুরসভার জায়গা দখল করে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।