কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
গলসিতে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে রাস্তার দুই পাশে ড্রেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ড্রেনের জন্য গর্ত করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও কাজ সম্পূর্ণ করা হয়নি। ফলে বৃষ্টিতে ব্যাপক জল জমেছে। সেই জলেই জন্মাবে মশার লার্ভা। স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ হোসেন বলেন, জায়গায় জায়গায় জমে রয়েছে বৃষ্টির জল। ডিম পেড়ে চলে যাবে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহক এডিস ইজিপ্টাই বা ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহক অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই মশা। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জল বের করার ব্যবস্থা করতে হবে। এলাকার বাসিন্দা শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ির সামনেই বড় গর্ত রয়েছে। সেখানে জল জমে আছে। বাড়ির বাচ্চারা খেলতে গিয়ে সেখানে পড়ে গেলে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। এলাকার বাসিন্দা শেখ জনাবউদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মশা ডিম পাড়ে জমা, স্থির জলে। আমাদের এখানে বৃষ্টির পর থেকে যেভাবে নির্মীয়মাণ ড্রেন এবং গর্তগুলিতে জল জমেছে, তাতে মশার দাপট বাড়বে বলে আশঙ্কা। জল জমে থাকা বড় গর্তের পাশেই রয়েছে বর্ধমানগামী বাসস্ট্যান্ড। বহু মানুষ প্রতিদিন কাজের সূত্রে বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ধরেন। বাসযাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, দীর্ঘদিন জল জমে থাকলে দুর্গন্ধ ছড়াবে। কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে বিষয়টিতে নজর দেওয়া উচিত। অথচ কাজ হয় না। জাতীয় সড়কের এক আধিকারিক জানান, ওখানে কাজ বন্ধ রয়েছে। এলাকার মানুষরা কাজ করতে না দেওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, তাঁরা কাজে বাধা দেননি।