কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম বিন্দুবালা মজুমদার (৬৫)। তাঁর বাড়ি হুগলির জিরাটে। তাঁর মৃত্যুর জন্য কেতুগ্রামের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিশ্বজিৎ আচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করে কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ১৪দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
রবিবার সীতাহাটির নৈহাটি গ্রামে এঘটনা ঘটে। মৃতার মেয়ে তথা এনায়েতপুরের বাসিন্দা ইতি দাস কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, তাঁর সাবালিকা মেয়েকে রবিবার দুপুর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁরা জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে উদ্ধারণপুর শ্মশানের পাশে নৈহাটি গ্রামের বাসিন্দা অর্জুন দেবনাথের বাড়িতে রয়েছে। তাঁর ছেলের সঙ্গে ইতিদেবীর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রবিবারই ইতিদেবী তাঁর বৃদ্ধা মা বিন্দুবালা মজুমদার, স্বামী দীপক দাস, ভাশুর বিপদভঞ্জন দাস ও প্রতিবেশী সন্ধ্যা দে-কে নিয়ে অর্জুন দেবনাথের বাড়িতে মেয়ের খোঁজে যান। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বজিৎ আচার্য। অভিযোগ, মেয়ের খোঁজ করতে গেলে ইতিদেবীদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়। মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার রাস্তায় আসেন ইতিদেবী। অভিযোগ, তখনই বিশ্বজিৎ আচার্য টোটো আটকে দাঁড়িয়ে গালাগালি দেয়। বিন্দুবালাদেবী এর প্রতিবাদ করতে গেলেই বিশ্বজিৎ আচার্য তাঁকে টোটো থেকে নামায়। বৃদ্ধাকে মাটিতে ফেলে জুতো খুলে তাঁর বুকে সজোরে আঘাত করে।
ইতিদেবী বলেন, আমরা মাকে ওই অবস্থায় প্রথমে কেতুগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখান থেকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলেই চিকিৎসক মাকে মৃত ঘোষণা করেন। জুতো খুলে মারার জন্যই আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এদিন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
লিখিত অভিযোগ পেয়ে কেতুগ্রাম থানার পুলিস ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ইতিদেবী বলেন, ওই পঞ্চায়েত সদস্য আমার মাকে মারধর করার পর কেউ একটু জল দেয়নি। জল পেলে আমার মা বেঁচে যেত।
ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেতুগ্রাম -২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বিশ্বাস বলেন, আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তবে আইন আইনের পথেই চলবে।