গৃহে বা বাইরে পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত বা অস্থিভঙ্গ হতে পারে। কাজকর্মে মনোযোগের অভাব। ... বিশদ
নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, প্রথম পর্যায়ে পরিবহণ দপ্তর থেকে প্রায় ২ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের জন্য শ্রমিক সমস্যার কারণে হয়তো একটু ধীরগতিতে কাজ চলছিল। তবে এই মুহূর্তে দ্রুত কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিকাদারকে বলে দেওয়া হয়েছে, দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে যে টাকা অনুমোদন হয়েছে, সেই কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবার ডিপিআর করে পাঠানো হবে। সেই টাকা অনুমোদন হয়ে এলে আরও উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হবে। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়ালি এই বাসস্ট্যান্ডের কাজের সুচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে যে টাকা অনুমোদন হয়েছে, তা থেকে এই বাসস্ট্যান্ডে পুরসভার যে ভবনটি আছে, সেটিকে বড় করা হবে। সেখানে নতুন করে তৈরি করা হবে একটি গেস্ট হাউস। একাধিক নতুন শেড তৈরির পাশাপাশি যাত্রীদের বসার জন্য ওয়েটিং রুম, পানীয় জলের এটিএম, সুলভ শৌচালয়, গাড়ি ধোয়ার ওয়াশ প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে। এছাড়া উন্নতমানের লাইটিংয়ে সাজিয়ে তোলা হবে বাসস্ট্যান্ড চত্বর।
নবদ্বীপ ধাম স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকায় শহরের এটি একমাত্র বাসস্ট্যান্ড। এই বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোরবেলা শুরু করে রাত পর্যন্ত প্রতিদিন বিভিন্ন রুটের শতাধিক বাস চলাচল করে।
দক্ষিণবঙ্গের বর্ধমান, আসানসোল, বাঁকুড়া, দুর্গাপুর, কালনা, কাটোয়া ছাড়াও উত্তরবঙ্গের, কোচবিহার, বালুরঘাট, শিলিগুড়ির বাসও ছাড়ে। নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগরের মধ্যে বেশকিছু কম দূরত্বের বাসও যাতায়াত করে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এই বাসস্ট্যান্ডের বেহাল অবস্থা ছিল।
বাসমালিক মনোজিৎ বসাক বলেন, আমার নবদ্বীপ বর্ধমান রুটের মধ্যে দু’টি গাড়ি চলে। দীর্ঘদিন পর বাসস্ট্যান্ডের কাজ শুরু হয়েছে আমরা খুশি। তবে বর্ষার আগে কাজ শেষ হলে ভালো হয়। তাহলে বর্ষার সময় মাথার ওপর যাত্রীরা ছাউনি পাবেন।
নদীয়া জেলা বাস পরিবহণ কর্মী ইউনিয়নের নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডের সম্পাদক সুজিত সরকার বলেন, ১৯৮৯ সালে এই স্ট্যান্ডের উদ্বোধন হয়েছে। তারপর আর এর সংস্কার হয়নি। ১০ বছর ধরে বাসস্ট্যান্ডের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিন পর মার্চের শেষের দিকে কাজটা শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজটা খুবই ধীরগতিতে হচ্ছে। পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে আমরা গিয়েছিলাম। তিনি ঠিকাদারদের ডেকে বলেছিলেন, দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।
বাসস্ট্যান্ডের কাজটির ঠিকাদার স্বপন ভৌমিক বলেন, ৩১ মার্চ কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরম, ধান কাটা, নির্বাচন সব মিলিয়ে লেবার পেতে সমস্যা হয়েছে। সেকারণে কাজ দ্রুত এগনো যায়নি। নির্মাণ সামগ্রী মজুত আছে। তবে পুরো কাজ শেষ হতে এক বছর লেগে যাবে। নিজস্ব চিত্র