উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে দুর্গাপুর মহকুমায় বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। শিল্পাঞ্চলের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এমনকী, গত বিধানসভা নির্বাচনেও দুর্গাপুরে তৃণমূলের পরাজয় হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে পরাজিত করে বিজেপি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়। গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের ফল খারাপ হয়। এরপরই প্রত্যেক রাজ্যবাসীর অভাব-অভিযোগ ও দাবি-দাওয়া পূরণে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের দাবি, দুর্গাপুরে দলের কর্মী, স্থানীয় ও ব্লক সহ জেলা নেতৃত্ব ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে এলাকার প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছচ্ছে। মানুষ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে ফিরে আসছেন। নির্বাচনের আগে বিজেপির দেওয়া ভুয়ো প্রতিশ্রুতি সাধারণ মানুষ সহ বিজেপি কর্মীদের কাছে ক্রমশ স্বচ্ছ হতে শুরু করেছে। এনআরসি, বেসরকারিকরণ, ব্যাঙ্কের অর্থ লেনদেন সহ একাধিক নীতি মেনে নিতে না পেরে ফের দুর্গাপুরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঝোঁক ঝড়ের গতিতে বাড়ছে বলে দাবি শাসক দলের।
ওইদিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের দুর্গাপুর-১ সাংগঠনিক ব্লকের তরফে স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায় একটি বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলার সহ পর্যবেক্ষক কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী, সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি, দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্থি, উত্তম মুখোপাধ্যায়, শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই দুর্গাপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জেসি বোস এলাকার কয়েকশো বিজেপির যুব কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেন। মঞ্চে কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী ও জিতেন্দ্র তেওয়ারি তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
জিতেন্দ্রবাবু বলেন, যুব সমাজ কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে অনেক আগে সচেতন হয়ে গিয়েছে। একাধিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি নেই। যে যুবকরা এদিন দলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা নির্বাচনের সময় বিজেপির হয়ে কঠোর পরিশ্রম করে নির্বাচনে জিতিয়েছেন। আজ তাঁরা ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দুর্গাপুরে বহু বিজেপি নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন।
যদিও বিজেপির জেলার গুণীজন সেলের সদস্য অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এদিন যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ১২ জন যুবক বিজেপির কর্মী ছিলেন। তাঁদের ভয় ও অর্থের লোভ দেখিয়ে তৃণমূল দলের পতাকা হাতে তুলে দিয়েছে। বাকিদের বিজেপি কর্মী সাজিয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে দিয়েছে। ওঁরা আামাদের দলের কেউ নন।