উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের কাউন্সিলার বৈঠকে ১৩ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ছ’জন উপস্থিত ছিলেন না। ভবেশবাবু ও তৃণমূলের ৫নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শুভঙ্কর কর ছাড়াও সিপিএমের তিনজন ও বিজেপির একমাত্র কাউন্সিলার এদিন অনুপস্থিত ছিলেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠের উপস্থিতিতে এদিন চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, এদিনের বৈঠকে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলার উপস্থিত না থাকতেন তাহলে চেয়ারম্যান হিসেবে ভবেশবাবুই বহাল থাকতেন। তবে ভবেশবাবু যেহেতু নিজের ইচ্ছাতে পদত্যাগ করেছেন, সে ক্ষেত্রে পুরআইন অনুযায়ী, বিকল্প কোনও পদ্ধতি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হতো। কিন্তু, এদিনের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলার উপস্থিত থাকায় কোনও অসুবিধা হয়নি।
পুরনিয়ম অনুসারে ভবেশবাবু যদি পুরসভায় সরাসরি পদত্যাগপত্র দাখিল করতেন তাহলে এদিনের বৈঠকের কোনও প্রয়োজন হতো না। সেক্ষেত্রে সরাসরি কাউন্সিলারদের নিয়ে একটি সভা ডেকে সংখ্যাগরিষ্ঠের পছন্দের কেউ চেয়ারম্যান হতেন। কিন্তু, যেহেতু তিনি মহকুমা দপ্তরে পদত্যাগ করেছিলেন তাই সেই পদত্যাগপত্র বোর্ড অব কাউন্সিলার ডেকে গৃহীত করতে হয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মনোজিৎ কর্মকার বলেন, সাতজন কাউন্সিলারের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। আগামী ১৯ তারিখ নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেবেন।
এদিনের সভায় অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে ভবেশবাবু বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। চিকিৎসার জন্য আসানসোলে রয়েছি। তাই এদিনের সভায় উপস্থিত থাকতে পারিনি।
ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, পুরসভা থেকে ১৩ জন কাউন্সিলারকে চিঠি করা হয়েছিল। যদিও এদিন সাতজনের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের কাউন্সিলার প্রদীপ দাস বলেন, তৃণমূলের ওটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। দলের নির্দেশে তাই কোনও কাউন্সিলার এদিন বৈঠকে যাননি।