সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: যে কোনও কাজ শেষ করার সময় আগেই বেঁধে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। এবার সব কাজের প্ল্যানিংয়ের সময়ও বেঁধে দেওয়ার ব্যবস্থা করল নবান্ন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাজ শেষ করতে অনেক সময় লেগে যায়। এর অন্যতম কারণ হল, বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরিতে অনেক সময় নেওয়া। দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, সময়ে ডিপিআর তৈরি হয়নি, তাই কাজ শেষ করা যায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ডিপিআর তৈরির সময় বেঁধে দিতে হবে। সেই সময়ের মধ্যেই ডিপিআর তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে দপ্তরের প্রধান সচিবদের অফিসে বসে রিপোর্ট নিলে হবে না, কাজের স্থলে যেতে হবে। দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিক শুধু নয়, জেলাশাসকদের এলাকায় গিয়ে কাজের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে ১০৫টি পুরসভার ভোট। তার আগে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক ভবনে সব দপ্তরের অফিসারদের কাজের স্থলে গিয়ে সরেজমিনে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘরে বসে দপ্তর চালাতে তিনি বারণ করেছেন। তিনি চান, কাজ হোক সময়ে এবং গুণগত মান বজায় রেখে। অফিসারদের আরও দায়িত্ববান হতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, কোথাও কোনও ত্রুটি হলে, তার জবাবদিহি করতে হবে অফিসারদেরই। সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
তবে অফিসাররা জানিয়েছেন, অনেক কাজ মামলার জন্য আটকে যায়। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ হল, এর জন্য প্রতিটি দপ্তরে একজন ‘ডেজিগনেটেড অফিসারকে’ দায়িত্ব দিতে হবে। যিনি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলার নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন। যেভাবেই হোক সময়ে কাজ শেষ করতে হবে, টাকা যেন নষ্ট না হয়। বিশেষ করে পূর্ত, পুর-নগরোন্নয়ন, আবাসন, পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি প্রভৃতি দপ্তরগুলিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার উপর জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, যেখানে রেল, বন্দর সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমতি প্রয়োজন, সেখানে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। রেলের অনুমোদনের জন্য মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ শেষ করতে দেরি হয়েছে। এরকম যাতে ভবিষ্যতে না হয়, তার জন্য দপ্তরগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে নবান্ন।