উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে মূলত কৃষিকাজের উপর অর্থনীতির ভিত দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলে বিকল্প আর্থিক সংস্থানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে পশুপালন। তাই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী পশুপালনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তার জন্য বিনামূল্যে হাঁস, মুরগি, ছাগল বিতরণ করা হচ্ছে। গাভি পালনে আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। তা পালন করে গরিব মানুষ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তাই এটিএম কার্ড ব্যবহার করে যেমন টাকা তোলা যায়, তেমনই গরিব মানুষ গৃহপালিত পশু পালন করে তা থেকে আয় করতে পারেন। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিকগণ ছাড়াও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামলবাবু বলেন, বর্তমানে চাষের ক্ষেত্রে সেচের জল ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ফলে বছরে তিন থেকে চারটি ফসল হচ্ছে। সেজন্য প্রাণিপালনের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে আগ্রহ কমে গিয়েছে। কিন্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলে সেই ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রাণিপালনই অন্যতম উপায়। আমরা জানি, গ্রামে মাঠ ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ, আর গোয়াল ভরা গোরু। এই তিনের উপর গ্রামের অর্থনীতি নির্ভর করে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এই তিনটি ক্ষেত্রের ভূমিকা উপলব্ধি করে একাধিক সুযোগ সুবিধামূলক প্রকল্প চালু করেছেন। তাই গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশের জন্য কৃষিকাজ ও মাছ চাষের পাশাপাশি পশুপালনে উৎসাহিত করতে হবে। সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। এছাড়াও এবিষয়ে আরও প্রচারের জন্য বিভিন্ন সময়ে মেলাও অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে, নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগের উদ্যোগে শুক্রবার কচবেল ফুটবল ময়দানে ২৩তম জাতীয় প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ উদযাপন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে গবাদি পশু ও প্রাণীদের নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে গবাদি পশুপালকদের বিশেষ সম্মান প্রদানও করা হয়। সেখানে নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সরস্বতী টুডু (সোরেন), সহকারী সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব, ব্লক প্রাণিস্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী রায়, ব্লক সহকৃষি অধিকর্তা পরিমল বর্মন, জনার্দণ্ডী পঞ্চায়েত প্রধান সোমা বাউরি, দীঘা পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব মুর্মু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একইভাবে কাশীপুর ব্লকের লাইব্রেরি কমিউনিটি হলেও প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া, জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।