উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
মঙ্গলবার পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তাঁদের সরকার হকারদের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো আলিপুরদুয়ারে হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। হকারদের ব্যবসা করার জন্য আপাতত শহরের দু’টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। পুনর্বাসনের জন্য আজ, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে।
পুর চেয়ারম্যান আরও বলেন, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য গোটা শহরকে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। শহরের বক্সা ফিডার রোডের ফ্লাইওভার থেকে কলেজ হল্ট, কলেজ হল্ট থেকে ১১ হাত কালীবাড়ি ও ভাঙাপুল থেকে চৌপথি পর্যন্ত তিনটি জোন করা হয়েছে। একইভাবে চৌপথি থেকে কোচবিহার-ফালাকাটা রোডের বাটা মোড় ও চৌপথি থেকে শামুকতলা রোডের শোভাগঞ্জ পর্যন্ত আরও দু’টি জোন করা হয়েছে। শহরের প্রতিটি জোন এলাকার স্ট্রিট হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে।
পুরসভায় আবেদনপত্রের সঙ্গে হকারদের নথি হিসেবে আধার ও ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিতে হবে। পুরসভা তারপর সেই আবেদনপত্র যাচাই করে দেখবে। আবেদনপত্র যাচাই করে দেখা হবে কারা ফুটপাতে বসে ব্যবসা করেন। ব্যবসা করার জন্য একজন হকারকে চিহ্নিত একটি জায়গা দেওয়া হবে। পুরসভার প্রাথমিক হিসেবে শহরে প্রায় ২০০ জনের মতো হকার রয়েছেন। হকারদের পুরসভার চিহ্নিত জায়গায় ব্যবসা করার জন্য কোনও স্থায়ী কাঠামো তৈরি করতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ ব্যবসা হয়ে গেলে দিনের শেষে তাঁদের দোকান গুটিয়ে নিতে হবে।
ফুটপাত দখলমুক্ত করার পাশাপাশি প্রশাসন শহরের হাইড্র্যান্ট ও জলাভূমির উপর বেআইনি নির্মাণও ভাঙা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে বক্সা ফিডার রোডের ধারে জলাভূমিতে দু’টি বহুতল হোটেলের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ৬ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানায় পুরসভার একটি হাইড্র্যান্টের উপর একটি বড় বেআইনি কালভার্টও আর্থমুভার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।
এদিন ভাইস চেয়ারপার্সন মাম্পি অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে পুর চেয়ারম্যান বলেন, প্রশাসন ও পুরসভার তরফে জলাভূমি ও হাইড্র্যান্টের উপর আরও কয়েকটি অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই দখলদারদের কাছে ইতিমধ্যেই আইনি নোটিসও পাঠানো হয়েছে। বেআইনি নির্মাণ ও ফুটপাতে কোনওভাবেই ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। হকার পুনর্বাসন নিয়ে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র