উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর একমাস না হতেই ইতিমধ্যে একাধিক পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হয়ে তৃণমূলের দখলে এসেছে। এগুলি হল ভেটাগুড়ি ১ ও ২, ফুলবাড়ি, কুচলিবাড়ি, নয়ারহাট, পারাডুবি, মাতালহাট, অন্দরান-ফুলবাড়ি ২, বলরামপুর ২, ঢাংঢিংগুড়ি এবং বাগডোগরা- ফুলকাডাবরি এবং বারোকোদালি-২।
মঙ্গলবার কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের দেওয়ানহাটের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা চন্দনা বর্মন তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন। তিনি পঞ্চায়েত সদস্যা হওয়ার পাশাপাশি বিজেপির ১৫ নম্বর মণ্ডলের মহিলা মোর্চার সভাপতি ছিলেন। এদিন তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন দেওয়ানহাটের বিজেপির অঞ্চল সম্পাদক বলাই মোদক।
চন্দনা বর্মন বলেন, আমি বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলাম। কিন্তু এলাকার মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের উন্নয়নের শরিক হতে এদিন তৃণমূলে যোগ দিলাম। তৃণমূলের কোচবিহারের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, দেওয়ানহাট অঞ্চলের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা ও ১৫ নম্বর মণ্ডলের মহিলা মোর্চার সভাপতি চন্দনা বর্মন ও ওই অঞ্চলের বিজেপির সম্পাদক বলাই মোদক আমাদের দলে যোগ দিলেন। এনিয়ে কোচবিহার জেলায় বিজেপির দেড় শতাধিক পঞ্চায়েত তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় ১২৮টির মধ্যে ২৪টি পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে গিয়েছিল। নতুন করে ১২টি পঞ্চায়েতে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছি। এখন বিজেপির কাছে মাত্র ১২টি অঞ্চল রয়েছে। বিজেপিতে মানুষ থাকতে চাইছেন না। শীঘ্রই আপনারা আরও ভালো খবর জানতে পারবেন।
তবে বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল জেলাজুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে বিজেপির কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। দলের পঞ্চায়েতদের ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে জোর করে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দিচ্ছে। মানুষ আগামীতে এর জবাব দেবে। নিজস্ব চিত্র