কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
বিএসএফের ৬১ নম্বর ব্যাটালিয়নের আধিকারিক মণীশ এস রাঠোর বলেন, সীমান্তে পাচার রুখতে আমরা সবসময় তৎপর। সীমান্তে গত কয়েক বছরে আমরা প্রচুর বেআইনি সামগ্রী পাচারের আগে উদ্ধার করেছি। গোরু, নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ, ইয়াবা ট্যাবলেট, সাপের বিষ সহ বেআইনি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। পাচার ও অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তের একাধিক জায়গায় সেন্সর বসানো হয়েছে। বসেছে অত্যাধুনিকমানের সিসি ক্যামেরা। কাঁটাতারের আশপাশে কেউ এলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। দ্রুত সীমান্তের আরও কিছু জায়গায় বসানো হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত পাচারের স্বর্গরাজ্য বলে পরিচিত। এই সীমান্ত দিয়ে নানা বেআইনি সামগ্রী বাংলাদেশে যেমন পাচার হয়, তেমনই বাংলাদেশ থেকেও একাধিক সামগ্রী ভারতে পাচার হয়। পাচারকারীরা বিএসএফের ঢিলেঢালা টহলদারির সুযোগ নিয়ে রাতে পাচার করে থাকে। বিএসএফ এবার সেই পাচারকারীদের কৌশল রুখতে তৎপর। হিলি সীমান্তের একাধিক জায়গায় বসানো হয়েছে সেন্সর।
কীভাবে এই সেন্সর কাজ করবে? বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁটাতার থেকে কয়েক ফুট এলাকায় মাটির নীচে বসানো রয়েছে সেন্সরের মেশিন। তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কাঁটাতার। সেই সেন্সর বিশেষ করে রাতে সক্রিয় করা হয়। রাতে যদি কাঁটাতার সংলগ্ন জায়গায় কেউ পা রাখে তবে তৎক্ষণাৎ বিএসএফের কন্ট্রোল রুমে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এমনকী কোন এলাকায় সেই অ্যালার্ম বেজেছে তার লোকেশন কম্পিউটারে দেখা যাবে। সেই লোকেশন ধরে বিএসএফ পৌঁছে পাচার রুখতে পারবে। অন্যদিকে, কাঁটাতার স্পর্শ করলে একইভাবে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। নিরাপত্তার কারণে কোথায় কোন জায়গায় সেন্সর রয়েছে তা বিএসএফের তরফে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।