কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
২০২১ সালে মোস্ট ইনোভেটিভ স্কুল হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছিল তারা। দু’বার জাতীয় স্তরে পুরস্কার মেলায় উচ্ছ্বসিত শেমরক ফ্লোরেট স্কুল। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল পারমিতা সরকার বলেন, বই মুখস্থ করে নম্বর পাওয়া নয়, বরং হাতেকলমে শিক্ষাদানের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পঠদানে উৎসাহিত করা হয়। আমাদের স্কুলের শিক্ষাদান পদ্ধতি ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করে। সেকারণে এই পুরস্কার। এই সম্মান আমাদের গর্বিত করেছে।
প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, মুখস্থ করে নম্বর পাওয়ার ইঁদুর দৌড়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয় না। বরং খেলার ছলে বিভিন্ন বিষয় আত্তীকরণে জোর দেওয়া হয় এই স্কুলে। ক্লাসের পড়া শেষ হলে খেলার মাধ্যমে সেগুলি আবার পড়ানো হয়। চিরাচরিত থিওরি পড়ান না শিক্ষকরা, বরং ছাত্রছাত্রীদের প্র্যাক্টিক্যালে জোর দেওয়া হয়। পড়ুয়া-শিক্ষক দু’তরফের সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয় শিক্ষা। চাপ নয়, প্রাণোচ্ছ্বল মাধ্যমে শিক্ষা অর্জনকেই সবক্ষেত্রে এখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়।
শেমরক ফ্লোরেট স্কুল ২৩ জুন ‘ন্যাশনাল স্কুল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ পায়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে আর্টিফিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর দাপট বাড়বে। শিক্ষাক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে। তখন বেশি নম্বর পাওয়া পড়ুয়ার চেয়েও উদ্ভাবনী ক্ষমতাবান ব্যক্তির চাহিদা হবে। তাই মুখস্থ করে পরীক্ষায় লিখে বেশি নম্বর পেয়ে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই শিশুদের উদ্ভাবনী গুণ বাড়ানোর জন্য জোর দেওয়া হয়। সেই পদ্ধতিগুলি শিশুমনে সাড়া ফেলেছে। শিশুরা যেমন বেশি করে স্কুলমুখী হয়, তেমনই ভালোবেসে পড়াশোনাও করে। পড়ানোর এই কৌশলের জন্য পুরস্কার পেয়েছে দিনহাটার শেমরক ফ্লোরেট স্কুল।