কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক অনুদানের ব্যবস্থা। শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই ওই পদ্ধতিতে অনুদানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচনী বন্ড বাতিল হলেও নির্বাচনী ট্রাস্টের মাধ্যমে অনুদানে কোনও বাধা নেই। কারণ এক্ষেত্রে অনুদান সম্পর্কিত তথ্য গোপন রাখার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। বাতিল হওয়া নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে জিএমআর গোষ্ঠী কোনও অনুদান না দিলেও দেশের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ট্রাস্ট প্রুডেন্টের মাধ্যমে তারা শাসকদলকে বড় অনুদান দিয়ে আসছে বলে রিপোর্ট। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদান এই নির্বাচনী ট্রাস্টগুলি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পৌঁছে দেয়। প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্টে আসা অনুদানের সিংহভাগই গিয়েছে বিজেপির কাছে। চলতি বছরের এপ্রিলে রয়টার্স-এর একটি রিপোর্টে জানানো হয়, ২০১৩ সাল থেকে ২৭ কোটি ২০ লক্ষ ডলার অনুদান সংগ্রহ করে প্রুডেন্ট। তার মধ্যে ৭৫ শতাংশই পেয়েছে বিজেপি। যে চারটি সংস্থার মাধ্যমে প্রুডেন্টে সবচেয়ে বেশি অনুদান এসেছে, তাদের অন্যতম হল এই জিএমআর গোষ্ঠী। বাকি তিনটি সংস্থা হল আর্সেলার মিত্তল নিপ্পন স্টিল, ভারতী এয়ারটেল ও এসার গোষ্ঠী। ঘটনাচক্রে, দিল্লি বিমানবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জিএমআর গোষ্ঠী বিজেপিকে সরসরি অনুদান না দিলেও তাদের দেওয়া টাকা প্রুডেন্টের মাধ্যমেই গিয়েছিল মোদি-শাহের দলের হাতে। এবিষয়ে রয়টার্সকে জিএমআর গোষ্ঠীর এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, কোন দল কত অনুদান পাবে তা প্রুডেন্ট তাদের অভ্যন্তরীণ গাইডলাইন অনুযায়ী স্থির করে। সেবিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। তিনি একথা বললেও প্রুডেন্টের মাধ্যমে যে জিএমআরের অনুদানের সিংহভাগই ক্ষমতাসীন বিজেপির কাছে যাচ্ছে, এটা তাঁর অজানা থাকার কথা নয়।