কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
কারণ প্রাক-মরশুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিতেই দিল্লির জল-যন্ত্রণার যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে আবারও স্পষ্ট হয়েছে যে এক বছরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি কিছু। দিল্লির বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার হাল বিন্দুমাত্র ফেরেনি। আর সবটা মিলিয়েই আবারও ফিরে আসছে গত বছর যমুনার জল উপচে শহর ভাসিয়ে দেওয়ার স্মৃতি। ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট হচ্ছে লালকেল্লার পিছন দিকের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। ব্যবসা বন্ধের আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ছে রতন আলির। শুক্রবারই দিল্লির মৌসম ভবন (আইএমডি) পূর্বাভাস দিয়েছে, আজ, শনিবার এবং কাল, রবিবারও দিল্লিসহ গোটা উত্তর ভারতেই ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। একদিনের বৃষ্টিতেই যদি এই হাল হয়, তাহলে একটানা বৃষ্টিতে কী পরিস্থিতি হবে? আপাতত এ প্রশ্নই তুলছেন দিল্লির মানুষ। ‘ল্যুটিয়েন্স’ দিল্লিতে বৃষ্টিপাতের জেরে ভেসে গিয়েছে কংগ্রেস এমপি শশী থারুরের বাংলো, মন্ত্রী আতিশীর সরকারি বাসভবন।
ফিরোজশাহ রোড, জঙ্গপুরা, আইটিওর মতো বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় হাঁটু জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। দিল্লিজুড়ে তৈরি হয়েছে প্রবল যানজট। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধের কর্তব্যপথও যেভাবে জলমগ্ন হয়েছে, তাতে বিস্মিত দিল্লিবাসী। পরিস্থিতি এদিন এতটাই বেগতিক যে, দিল্লির কিছু অংশে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও নামতে হয়েছে। বসন্ত বিহারে দেওয়াল চাপা পড়ে তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। যানজট থেকে রেহাই পেতে এদিন মেট্রো রেলের উপর বেশি ভরসা করেছেন সাধারণ মানুষ। ফলে বিশেষ করে অফিস টাইমে দিল্লির সবক’টি মেট্রো রুটেই ছিল মাত্রাছাড়া ভিড়। যদিও বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে মেট্রোতেও। যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর-২৫ মেট্রো স্টেশন সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সচিবালয় মেট্রো স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারি কর্মী বিজয় মিনা বলেন, ‘সময়ে কাজে পৌঁছনোই এখন ঝক্কি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবার একই যন্ত্রণা। বর্ষা এলেই ভয় লাগে।’ পরিস্থিতি সামলাতে এদিনই জরুরি বৈঠক করেছে দিল্লি সরকার। প্রস্তুতি রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছেন দিল্লির উপ-রাজ্যপাল।