নয়াদিল্লি ও পাটনা: দক্ষতার পরীক্ষা (কম্পিটেন্সি টেস্ট) দেবেন না, এই দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিহারের পঞ্চায়েত পরিচালিত স্কুলগুলির চার লক্ষ শিক্ষকের সংগঠন। কিন্তু সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। কীভাবে শিক্ষকরা এমন আবেদন করতে পারেন, সেই প্রশ্ন তুলে কড়া ভর্ৎসনাও করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, ‘এটা কি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মানের সঙ্গে মেলে? স্নাতকোত্তর পাস করে যিনি চাকরি করছেন, তিনি ছুটির জন্য একটা আবেদনপত্র লিখতে পারছেন না? সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের অবসরকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি নাগারত্ন জানান, বিহারের মতো একটা রাজ্য শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নত করতে চাইছে, তার জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অথচ এর বিরোধিতা করা হচ্ছে। এদিন বেঞ্চ শিক্ষকদের উদ্দেশে আরও বলে, যদি আপনারা ওই পরীক্ষা দিতে না চান, তাহলে পদত্যাগ করা উচিত। এরপরই শিক্ষকদের আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
অন্যদিকে, নিট ও নেট দুর্নীতি নিয়ে সারা দেশে আলোচনার মধ্যেই কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করল বিহার পুলিসের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা। এদের মধ্যে তিনজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। গত বছরের ১ অক্টোবর ওই পরীক্ষা ছিল। কিন্তু প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সেই পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে বারবার বিহারের নাম জড়ানোয় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কঠোর আইন আনা হচ্ছে। জুলাই মাসে বিহার বিধানসভার বাদল অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল পাস করানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নির্দেশেই এই নতুন আইন চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সম্রাট।