নয়াদিল্লি: দুই ভাইকে ফাঁসির সাজা! ১৪ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ইটভাটার কয়লার চুল্লিতে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর ৩ আগস্ট। রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার এই নারকীয় ঘটনা দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের স্মৃতি উস্কে দেয়। কিশোরীকে গণধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত দুই ভাইকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। সোমবার বিশেষ আদালতের বিচারক অনিল গুপ্তা ঘটনাটিকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করেছেন। শনিবারই অভিযুক্ত কালু ও কানহাকে পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। তবে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগে ধৃত তিন মহিলা সহ সাতজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, সাতজনকে খালাসের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজস্থান হাইকোর্টে আবেদন জানাবে কিশোরীর পরিবার। সরকারি আইনজীবী মহাবীর সিং কৃষ্ণওয়াত বলেন, শনিবার দুই ভাইকে দোষী সাব্যস্ত করার পর এদিন তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। 
কী ঘটেছিল সেদিন? আদালত সূত্রে খবর, ভিলওয়ারার শাহপুর এলাকায় ওই কিশোরী গবাদি পশু চড়াতে গিয়েছিল। কিন্তু বিকেল হয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্থানীয়রা দেখেন, সেদিন প্রচুর বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও রাত ১০টায় ইটভাটার চুল্লি থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তার আশপাশে ছেঁড়া জামা-কাপড় দেখে তাঁরা পুলিসকে খবর দেন। পুলিস এসে কিশোরীর আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে। পরে ফরেন্সিক রিপোর্টে দেখা যায়, তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। হত্যার আগে তাকে গণধর্ষণ করে কালু ও কানহা। এই ঘটনায় রাজস্থানের তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি। চাপে পড়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে ৪০০ পাতার  চার্জশিট পেশ করে রাজস্থান পুলিস। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে প্রায় ১১ মাস বিচার চলার পর এদিন দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক।