আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়ে দিল আবহাওয়া দপ্তর। উত্তরবঙ্গে এবার স্বাভাবিক সময়ের কিছুটা আগেই বর্ষা ঢুকে যেতে পারে। মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
মঙ্গলবার শেষমেশ অর্ধশতরান হয়নি। বুধবার রুদ্ররূপ দেখিয়ে পঞ্চাশের সীমা পেরিয়েই গেল পারদ। এদিন দিল্লির মুঙ্গেশপুরে বেলা ৩টেয় ৫২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে রেকর্ড।
দেশবাসীকে খাদ্যসুরক্ষা তিনি দিয়েছেন, ব্যাঙ্কের সুবিধা আম জনতা পেয়েছে তাঁর আমলে, স্বনির্ভরতাও নাকি তাঁর দান। নরেন্দ্র মোদির এইসব অলীক দাবি সঠিক ধরে নিলে, ২০১৪ সালের আগে ভারত আদিম যুগে পড়েছিল। তিনিই উদ্ধার করেছেন।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্য। মিজোরাম, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডে রেমালের প্রভাবে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেঘালয়।
এবারের ভোটের ইস্যু কী? দুর্নীতি? পরিবারতন্ত্র? ২৫ বছর পরের উন্নত ভারত? রাজনীতির ময়দানে এইসব শব্দ বা শব্দবন্ধ নিয়ে আলোচনা হতেই পারে, মানুষের কাছে ভোটের ইস্যু একটাই—মূল্যবৃদ্ধি। প্রতি ছ’মাসে বদলে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের মাসের বাজেট।
গোল্ডেন টেম্পল রোডের সামনে চোখ টেনে নিল একটা হোর্ডিং। তাতে লেখা, ১-৬ জুন ‘অকাল তখতে’র উপর হামলার ৪০ বছরের স্মৃতিচারণ হবে। শুরু হয়ে গিয়েছে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের প্রস্তুতি। সোনায় মোড়া মন্দিরের প্রধান ফটকের সামনেই রাখা ভাঙাচোরা অকাল তকতের মডেল।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কাই সত্যি হল! শেষ দফায় মরণকামড় দিতে ফের ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি’কে আসরে নামাল গেরুয়া শিবির। আর তারাও বেছে বেছে তৃণমূলের ‘ভোট ম্যানেজার’দের মাত্র একদিনের নোটিসে তলব শুরু করেছে।
এবারের সাত দফা লোকসভা ভোটের শেষ পর্ব বাকি। তারই মধ্যে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থার কর্তাদের মন রাখতে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নির্মলার বক্তব্যে কিছুটা স্বস্তি পেল এমএসএমই শিল্পক্ষেত্র।
বছরের দু’কোটি চাকরির স্বপ্ন ফেরি করে ক্ষমতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু কর্মসংস্থান তো দূর অস্ত, বেকারত্বে ৪৫ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করেছে ভারত। এমনকী ১০০ দিনের কাজেও রকেট গতিতে কমেছে নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা।
প্রবল তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের পাশাপাশি গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে। সেই তালিকায় রয়েছে বিহারও। ইতিমধ্যে সেখানকার তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ল প্রায় ৫০ জন স্কুল পড়ুয়া।
ওড়িশায় ক্ষমতা দখলের জন্য চেষ্টার কসুর করছে না বিজেপি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের অসুস্থতা নিয়েও এবার রাজনীতি করতে নেমে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভার ২১টি আসনের পাশাপাশি এবার নির্বাচন হচ্ছে ১৪৭ আসনবিশিষ্ট ওড়িশা বিধানসভারও।
ভোটের মধ্যেই মোদির সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল কৃষক সংগঠনগুলি। সংযুক্ত কিষান মোর্চার অভিযোগ, বিজেপির বিরোধিতা করলেই ছোট-বড় কৃষক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হচ্ছে। কোনওরকম নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই তাঁদের হাউস-অ্যারেস্ট করা হচ্ছে।
বাকি আর মাত্র এক দফা। সাঙ্গ হয়েছে ছয় দফার ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার প্রথম ছয় দফায় ২০১৯ সালের তুলনায় ১.৫৫ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। ভোটদানের হার কমেছে ৬৫ শতাংশ লোকসভা আসনে।
গৃহে বা বাইরে পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত বা অস্থিভঙ্গ হতে পারে। কাজকর্মে মনোযোগের অভাব। ... বিশদ
সীতামারী (বিহার): লোকসভা নির্বাচনের মহাযুদ্ধের চার দফা ইতিমধ্যেই শেষ। এবার পঞ্চম দফার জন্য কোমর বাঁধছে এনডিএ-ইন্ডিয়া দু’পক্ষই। এই পর্বেই ভোটগ্রহণ হবে বিহারের সীতামারী লোকসভা কেন্দ্রে। ৬টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত এই লোকসভা আসনের মধ্যে তিনটিতে বিজেপি, দু’টিতে জেডিইউ এবং একটি কেন্দ্রে আরজেডির বিধায়ক রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে এনডিএ জোটের শরিক হয়েছে রাজ্যের শাসকদল জেডিইউ। সীতামারী লোকসভা আসনে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল প্রার্থী করেছে বিধান পরিষদের চেয়ারম্যান দেবেশচন্দ্র ঠাকুরকে। বিদায়ী সাংসদ সুনীলকুমার পিন্টু এবার টিকিট পাননি। অন্যদিকে, লালুর দল আরজেডি গতবারের মতো এবারও অর্জুন রাইয়ের উপরই আস্থা রেখেছে। ২০০৯ সালে সীতামারীর সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন আরজেডির এই প্রথম সারির নেতা। যুযুধান দুই প্রার্থীরই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে।
কথিত আছে এখানেই জন্মেছিলেন সীতা। তাঁর নাম থেকেই এই জনপদের নাম সীতামারী। এখানে রয়েছে জানকীর মন্দিরও। ইতিহাস বলছে, ১৯৫৭ সালে তৈরি হওয়া সীতামারী লোকসভা কেন্দ্রটি মুজফ্ফরপুর পূর্ব নামে পরিচিত ছিল। এই কেন্দ্রে প্রথমবার জয়লাভ করেন প্রজা সোশ্যালিস্ট পার্টির জে বি কৃপালিনী। তারপর থেকে বরাবর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয় সীতামারী। জরুরি অবস্থা জারির আগে এই আসনে তিনবার জয়লাভ করে হাত শিবির। ক্রমশ এই আসনে রাশ আলগা হয়েছে তাদের। বর্তমানে এনডিএ শিবিরের ‘দুর্গ’-এ পরিণত হয়েছে সীতামারী। তিনবার এই আসনে জয় পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা। চতুর্থবার সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখতেই কোমর বেঁধে নেমেছে এনডিএ শরিক জেডিইউ। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার এনডিএ শরিক হিসেবে এই আসন জেতে জেডিইউ। মাঝে ২০০৪ সালে একবার তাল কাটলেও আর এনডিএর বিজয়রথ থামানো যায়নি। ২০১৪ সালে এই আসনে এনডিএ শরিক রাষ্ট্রীয় লোকসমতা পার্টির (আরএলএসপি) প্রার্থী রামকুমার শর্মা জয়লাভ করেন। গত কয়েক বছরের প্রবণতা বলছে, এখানকার ভোটাররা যাঁকে পছন্দ করেন ঢেলে ভোট দেন। তাই ভোটের মার্জিন বেশিই থাকে।
গত লোকসভা ভোটে জেডিইউ প্রার্থী সুনীলকুমার পিন্টু ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৩৯ ভোটে হারান আরজেডি প্রার্থী অর্জুন রাইকে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে মরিয়া জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। গত সোমবারই সীতামারীতে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করেছেন নীতীশ। তাঁর কাঁটা বিগত সাংসদই। এবার টিকিট না পেয়ে বেশ ক্ষুব্ধ পিন্টু। এদিকে, জনক রাজার রাজ্য জয়ে আদাজল খেয়ে নেমেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও।
কথিত আছে এখানেই জন্মেছিলেন সীতা। তাঁর নাম থেকেই এই জনপদের নাম সীতামারী। এখানে রয়েছে জানকীর মন্দিরও। ইতিহাস বলছে, ১৯৫৭ সালে তৈরি হওয়া সীতামারী লোকসভা কেন্দ্রটি মুজফ্ফরপুর পূর্ব নামে পরিচিত ছিল। এই কেন্দ্রে প্রথমবার জয়লাভ করেন প্রজা সোশ্যালিস্ট পার্টির জে বি কৃপালিনী। তারপর থেকে বরাবর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয় সীতামারী। জরুরি অবস্থা জারির আগে এই আসনে তিনবার জয়লাভ করে হাত শিবির। ক্রমশ এই আসনে রাশ আলগা হয়েছে তাদের। বর্তমানে এনডিএ শিবিরের ‘দুর্গ’-এ পরিণত হয়েছে সীতামারী। তিনবার এই আসনে জয় পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা। চতুর্থবার সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখতেই কোমর বেঁধে নেমেছে এনডিএ শরিক জেডিইউ। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার এনডিএ শরিক হিসেবে এই আসন জেতে জেডিইউ। মাঝে ২০০৪ সালে একবার তাল কাটলেও আর এনডিএর বিজয়রথ থামানো যায়নি। ২০১৪ সালে এই আসনে এনডিএ শরিক রাষ্ট্রীয় লোকসমতা পার্টির (আরএলএসপি) প্রার্থী রামকুমার শর্মা জয়লাভ করেন। গত কয়েক বছরের প্রবণতা বলছে, এখানকার ভোটাররা যাঁকে পছন্দ করেন ঢেলে ভোট দেন। তাই ভোটের মার্জিন বেশিই থাকে।
গত লোকসভা ভোটে জেডিইউ প্রার্থী সুনীলকুমার পিন্টু ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৩৯ ভোটে হারান আরজেডি প্রার্থী অর্জুন রাইকে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে মরিয়া জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। গত সোমবারই সীতামারীতে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করেছেন নীতীশ। তাঁর কাঁটা বিগত সাংসদই। এবার টিকিট না পেয়ে বেশ ক্ষুব্ধ পিন্টু। এদিকে, জনক রাজার রাজ্য জয়ে আদাজল খেয়ে নেমেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও।
