পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
ধৃত সমরেশকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, ভুয়ো নথি দিয়েই ‘ভারতীয়’ হওয়া যায়—এই ‘জাদু’ সে জানতে পারে এপারে অনুপ্রবেশের পর। ‘সমরেশ’ নাম নিয়ে ভারতে থাকতে শুরু করে সে। ওই নামেই তার আধার, ভোটার কার্ড (এপিক), প্যান প্রভৃতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ওইসব দিয়ে সে ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে নিয়েছে। এরপর বাংলাদেশে বসবাসকারী স্ত্রী এবং আত্মীয়দের একে একে এদেশে এনে তাঁদেরও নামে বানিয়ে ফেলেছে জাল পরিচয়পত্র। তারপর থেকেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের এনে জাল নথি দিয়ে পাসপোর্টের কারবার ফেদে বসে সমরেশ।
এই ধৃত ব্যক্তি তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছে, বেআইনিভাবে সীমান্তে পেরনো বাংলাদেশিদের এরাজ্যে আনার পর সে প্রথমে তৈরি করে দিত ভোটার কার্ড। তারপর ওই জাল নথির ভিত্তিতে আধার অফিস থেকে বানিয়ে দিত আধার কার্ড। এই কাজে তাকে সাহায্য করত আধার কেন্দ্রেরই কিছু কর্মী। এই সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল সীমান্ত এলাকার এক এজেন্ট। আধার কেন্দ্রের কর্মীরা কোনও কিছু যাচাই না-করেই আধার তৈরি করে দিত টাকার বিনিময়ে। পরে আধারে লেখা জন্মতারিখ এবং কার্ড তৈরির বছরও পাল্টে দিত সে। কারণ, আধার পাওয়ামাত্রই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায় না। সরকারি নিয়ম এড়াতেই বয়স ও বছর পাল্টানো হতো। এই পাল্টাপাল্টির কাজটি করত মুকেশ গুপ্তা নামে পলাতক একজন। এই কারণে সদ্য সীমান্ত পেরনো বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট পেতে কোনও অসুবিধা হতো না।
পুলিসি হেফাজত শেষে শুক্রবার সমরেশকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত জানতে চায়, কীভাবে পাসপোর্টগুলি ইস্যু হয়ে গেল? নথি যাচাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিস কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না কোর্ট জানতে চায়। তদন্তকারী অফিসার আদালতে জানান,
সবে তদন্ত শুরু হয়েছে, সমস্ত বিষয়ই খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।