নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ত্রিস্তরীয় যাচাই ব্যবস্থার মাধ্যমে বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কেনার টাকা অনুমোদন করা হবে। কারিগরি শিক্ষাদপ্তর এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। ত্রিস্তরীয় যাচাই প্রক্রিয়ার সমসয়সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ডিরেক্টরেট অব ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিভিইটি)। বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ‘তরুণের শিক্ষা’ নামে একটি বিশেষ পোর্টাল আছে। সাধারণ শিক্ষার স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য অন্য একটি পোর্টাল আছে। ‘বাংলার শিক্ষা’ নামে ওই পোর্টালটি শিক্ষা দপ্তর পরিচালনা করে। বৃত্তিমূলক কোর্সের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নাম ওই পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সেক্ষেত্রে তরুণের স্বপ্ন পোর্টালে তাদের নাম আর ঢোকানো যায় না। এবারও বাংলার শিক্ষা পোর্টালে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের একাংশের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই ছাত্রছাত্রীরা টাকা পেয়েও গিয়েছেন। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও শিক্ষকদের সংগঠনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে কোনোরকম জালিয়াতি করা সম্ভব হবে না বলে আশা করা যায়। এরকম ব্যবস্থা আগেই করা উচিত ছিল।
তরুণের স্বপ্ন পোর্টালটি এবারও পরে চালু হয়েছিল। তাই এর মাধ্যমে টাকা প্রদানের প্রক্রিয়া পরে হচ্ছে। ট্যাবের টাকা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসায় বিশেষ সতর্কতা নিয়েছে কারিগরি শিক্ষাদপ্তর। যেসব ছাত্রছাত্রীর টাকা পাওয়া উচিত তাদের অ্যাকাউন্টে যাতে টাকা জমা পড়ে সেটা নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা জারি করে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করে তা যাচাই করে সই ও সিলসহ অনলাইনে আপলোড করতে বলা হয়। পাশাপাশি অফ লাইনে ওই নথি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে পাঠাতে হবে। ওই নথি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আঞ্চলিক অফিস ও ডিরেক্টরেট পর্যায়ে যাচাই করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ের যাচাই শেষ করতে হবে ৩ জানুয়ারির মধ্যে। তারপর টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।