পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
ঠিক কোন পদমর্যাদার আধিকারিক সমবায়ের কাজ দেখবেন, এতদিন তা নির্দিষ্টভাবে বলা ছিল না। ফলে অনেক জেলাতেই এই কাজের দায়িত্ব থেকে যেত নিচুতলার আধিকারিকদের উপর। আবার অনেক জায়গায় এই কাজের উপযুক্ত আধিকারিকও ছিলেন না। বছরে দু-একবার, এই কাজে যখন যেমন প্রয়োজন পড়ত, একজন আধিকারিককে নিয়োগ করা হতো। এখন থেকে জেলা প্রশাসনকে আর তেমনটি করলে চলবে না। নির্দিষ্ট একজন এডিএম পদমর্যাদায়ের আধিকারিককেই ওই কাজের দায়িত্বে রাখতে হবে। সমবায় দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সব জেলায় সারাবছর ধরে সমবায় ব্যবস্থাকে তাঁরা আরও জোরদার করবেন। প্রত্যেক মাসে সংশ্লিষ্ট জেলার সমবায়, তাদের মাধ্যমে দেওয়া ঋণ, ঋণের হার বৃদ্ধি, নতুন সদস্য প্রভৃতি বিষয়ে রিপোর্ট তৈরির দায়িত্বও থাকবে ওই আধিকারিকের উপর।
সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সমবায় উন্নয়ন কমিটির বৈঠক হয়। ছিলেন বিভাগীয় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং সচিব কৃষ্ণ গুপ্ত ও সংশ্লিষ্ট আরও কিছু আধিকারিক। জেলাশাসকরাও বৈঠকে যোগ দেন ভার্চুয়ালি। সেখানেই জেলাশাসকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা সমবায় উন্নয়ন কমিটিগুলিকে আরও চাঙ্গা করে তোলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠক থেকে। সমবায় ব্যাঙ্কগুলি কৃষি, ডেয়ারি, ক্ষুদ্রশিল্প, মৎস্য উৎপাদন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ দিয়ে থাকে। তার হার এখন যথেষ্ট ভালো বলেই এদিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এসব ক্ষেত্রে ঋণদানের হার আরও বৃদ্ধির ব্যাপারে। একইসঙ্গে, প্রদত্ত ঋণ বাবদ অর্থ আদায় নিশ্চিত করার উপরেও জোর দিতে বলেছে সরকার। এজন্য গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নিয়মিত অডিটকে।
সমবায় দপ্তরের অধীনে কিছু গুদাম রয়েছে। নিজস্ব আয়বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেগুলির যথাযোগ্য ব্যবহারেরও নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সমবায় দপ্তরে এই সমস্ত গুদামের একটি তালিকা কৃষি ও কৃষি বিপণন দপ্তরের হাতে তুলে দেবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।