বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
শুধু সাহিত্যিকের গণ্ডিতে তাঁকে ধরা যায় না। সাংবাদিকতার দুনিয়াতেও নিমাই ভট্টাচার্য এক উজ্জ্বল নাম। দেশ-বিদেশের বহু রাষ্ট্রনায়কের সংস্পর্শে এসেছিলেন। কিন্তু সাহিত্যের নেশা তাঁকে টেনে নিয়ে যায় উপন্যাসের দিকে। প্রথম প্রকাশিত বই ‘রাজধানীর নেপথ্যে’ (১৯৬৪)। ‘মেমসাহেব’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্যকে। এই উপন্যাসটি তাঁকে সাহিত্য জগৎ ও পাঠক মহলে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। নিমাই ভট্টাচার্যের বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১৩০। ‘পিয়াসা’, ‘ম্যারেজ রেজিস্ট্রার’, ‘অষ্টাদশী’, ‘ডিপ্লোম্যাট’, ‘নাচনী’, ‘ইমন কল্যাণ’, ‘ব্যাচেলার’-এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন তিনি।
১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই বিশিষ্ট সাহিত্যিক। মাত্র তিন বছর বয়সে মাকে হারান তিনি। বাবা সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যই তাঁকে বড় করেন। ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন। পড়তে পড়তেই সাংবাদিক হিসেবে লেখালেখি শুরু করেন তিনি।
১৯৫০ সালে ‘লোকসেবক’ পত্রিকায় সাংবাদিক জীবনের শুরু নিমাই ভট্টাচার্যের। তারপর দিল্লিতে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের সংসদ, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময়টাই তিনি কাটিয়েছেন রাজধানীতে। বেশ কিছু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ভি কে কৃষ্ণমেনন, মোরারজি দেশাই, ইন্দিরা গান্ধী, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি হো-চি-মিন, সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী সহ বহু রাষ্ট্রনায়কের সফরসঙ্গী হয়েছিলেন নিমাই ভট্টাচার্য। জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলন, কমনওয়েলথ সম্মেলন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি সাংবাদিক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বর্ষীয়ান সাহিত্যিকের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে লেখক ও পাঠকমহলে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছে পাবলিশার্স ও বুক সেলার্স গিল্ডও।