বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
করোনা সংক্রমণ রুখতে মার্চ মাসের ২৫ তারিখ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। কিন্তু, তখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় একজনও আক্রান্ত হননি। এমনকী, এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ‘গ্রিনজোনে’ই ছিল এই জেলা। গত ১৮ এপ্রিল খণ্ডঘোষে জেলার প্রথম এক করোনায় আক্রান্তের হদিশ মেলে। তিনি কলকাতা থেকে ফিরেছিলেন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ মে পর্যন্ত জেলায় মাত্র ৪৯৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর থেকেই পরীক্ষার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ৫ তারিখের পর থেকে গত দু’সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ ১৯ মে পর্যন্ত জেলায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ৫ হাজার ৬৫৮ জনের পরীক্ষা করা হয়। ১ জুন পর্যন্ত জেলায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৮০২। রবিবার ২৮ জুন পর্যন্ত জেলায় মোট ২৩ হাজার ৩৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাকি ২৩ হাজার ১৭৯ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
আগে করোনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় নমুনা পাঠানো হতো। কিন্তু, মে মাস থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। তাতে সুবিধাও হয়েছে। এখানে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৫০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কালনা রোডের কৃষিভবনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং গাংপুরের কোভিড হাসপাতাল মিলিয়ে তিন জায়গা থেকে নমুনা নেওয়া হচ্ছিল। তাতে কম নমুনা সংগ্রহ হচ্ছিল। তাই এখন জেলার মোট ১৩টি জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক ছাড়াও যাঁদের করোনা উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের নমুনা নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের সংখ্যাগরিষ্ঠই ভিন রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার রায় বলেন, জেলায় ২৩ হাজারের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আমাদের জেলায় করোনায় সুস্থতার হারও খুব ভালো। আক্রান্ত ১৬০ জনের মধ্যে রবিবার রাত পর্যন্ত ১৪৬ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। জেলায় মাত্র ১৪ জন সক্রিয় আক্রান্ত রয়েছেন।