বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
‘রাজনীতি সচেতন’ বলে বাংলার একটা ঐতিহ্য রয়েছে। ভোট এলে তো আর কথাই নেই। একলপ্তে সচেতনতা বেড়ে যায় বহুগুণ। চায়ের দোকানের আড্ডায়, বাসে-ট্রেনে, মাঠে-ময়দানে সকলেই যেন হয়ে ওঠেন এক একজন প্রাজ্ঞ বিশ্লেষক। ঘাম ঝরাতে মাঠে নেমে পড়েন নেতারা। দফায় দফায় মিটিং-মিছিল। সভা-সমিতি কিংবা স্ট্রিট কর্নার। একাধিক কর্মসূচিতে নাওয়া-খাওয়াও ভুলে থাকেন তাঁরা। কিন্তু, এবার চিত্রটা বেশ অন্যরকম। বাড়িতে কড়া নাড়ছে ভোট। অথচ, কোভিডের দৌরাত্ম্যে নেতা-কর্মীরাই ঘরবন্দি। সামাজিক দূরত্ববিধির শাসনে জনগণও। তা বলে কি রাজনীতির আঙিনায় বাংলা তার কৌলিন্য হারিয়ে বসবে?
ঐতিহ্যের পরম্পরা ছাড়তে কে-ই বা চায়! আর চায় না বলেই রাজনৈতিক প্রচারে বাংলার সবাই এখন ‘নেট নাগরিক’। কোভিড-লকডাউন দাবিয়ে রাখতে পারেনি তাঁদের। গত তিন মাসে ফেসবুকেই বিক্ষোভ-আন্দোলনের আওয়াজ তুলে পশ্চিমবঙ্গ এখন প্রথম স্থানে। চলতি বছরের শেষে ভোট হলেও রাজনৈতিক প্রচারে পশ্চিমবঙ্গের অনেক পিছনেই রয়েছে বিহার। শুধু তাই নয়, করোনা-পর্বের তিন মাসে সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্ল্যাটফর্মে প্রচার চালাতে সবচেয়ে বেশি টাকাও ঢেলেছে রাজনৈতিক দলগুলি।
ফেসবুকে রাজনৈতিক প্রচারে পশ্চিমবঙ্গের কেন এই ঈর্ষণীয় উত্থান? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘বিভিন্ন কারণে এবার বঙ্গের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তো বটেই, গোটা গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ এখন এই রাজ্য। ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয় শাসক শিবিরও। মাঝখান থেকে কংগ্রেস-সিপিএম জোটও চাইছে তাদের অভিন্ন কর্মসূচির কথা রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। কিন্তু কোভিডের ধাক্কায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিই মাঠে মারা যাচ্ছে। ফলত, জনমত তৈরিতে তাদের কাছে এখন বড় হাতিয়ার হয়ে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া। কম খরচ করেই পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের দরবারে।