বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
পদ্মায় মাছ ধরেন জীবন হালদার। তিনি বলেন, বড় সাইজের মাছ পাওয়া গেলে সেটা আড়তে দিয়ে দিই। পদ্মায় মাঝেমধ্যেই পাঁচ-ছ’কেজি ওজনের মাছও উঠে আসে। সেগুলি বিভিন্ন বাজারে চলে যায়। ওই মাছ থালায় বিক্রি করা সম্ভব নয়। ছোট সাইজের ইলিশ, পাবদা, পাঙাস, চিংড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কিনে নেয়। তারা বহুদিন ধরে এভাবেই ক্রেতাদের মাছ বিক্রি করে। কোনও থালা ১৫০টাকা আবার কোনও থালা ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। কোনও কোনও সময় একটা থালার দু-তিনজন ক্রেতা হয়ে যায়। তখন যে বেশি দাম দেয় তাঁকেই মাছ দেওয়া হয়।
লালগোলা পদ্মা ফিশারম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের পক্ষে সুরজিৎ হালদার বলেন, পদ্মায় এখন প্রায় ৪০০জন মাছ ধরেন। এখনকার অনেক মৎস্যজীবী দীঘাতেও মাছ ধরতে যান। সারাবছর পদ্মায় বেশি পরিমাণ মাছ পাওয়া যায় না। সেসময় তাঁরা দীঘায় চলে যান। বর্ষার আগে থেকে এখানে মরশুম শুরু হয়। এইসময় জালে বিভিন্ন ধরনের মাছ উঠে আসে। স্থানীয়রা বলেন, পদ্মার মাছ সুস্বাদু। তাই থালায় মাছ কেনার ক্রেতার অভাব হয় না। তবে এই মাছ বাজার দিনের এক সময়েই বসে। অন্যসময় কেজি দরেই মাছ কিনতে হয়। থালায় মাছ বিক্রির পাশাপাশি দরদাম করাও এখানকার দস্তুর। বর্ষার মরশুমে থালায় সাজানো টাটকা ইলিশ এখানকার বাজারের আরও বেশি আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।