কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন বৃহস্পতিবারও বেতন বাবদ প্রায় চার কোটি টাকা ঢোকেনি। কিন্তু রবীন্দ্রভারতীর দূরশিক্ষা বিভাগের আয় যথেষ্ট। তারা সেখান থেকে টাকা ধার হিসেবে নিয়ে বেতন দিয়ে দেয়। পরে সেই টাকা এলে ফের দূরশিক্ষা বিভাগকে মিটিয়ে দেয়। কিন্তু কেন্দ্রের একাধিক শর্তারোপের ফলে সেই দূরশিক্ষা বিভাগেও ছাত্রভর্তি আগের মতো করা যাচ্ছে না। সেই আয়ও কমেছে। তাই এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বেশ সমস্যাতেই পড়তে হবে বলে আধিকারিকদের আশঙ্কা। আবার একটি অপেক্ষাকৃত পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষকর্তা বলেন, সরকার হয়তো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। কারণ, তাঁদের সেই অর্থে তহবিল নেই। ইউজিসির ১২ (বি) অনুমোদনও নেই। ফলে সেই খাতে টাকা পায় না। তাই তাদের বেতন আগে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, সেই দাবি কিছুটা ধাক্কা খাচ্ছে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন চলে এলেও তা দেরি হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জমানো অর্থ থেকেই তা দিতে হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র কয়েক বছরের পুরনো। ১২ (বি) অনুমোদনও নেই। খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তাদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে হাত দিতে হয়েছে। আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়েও এই সমস্যা হয়েছে। তবে, আধিকারিকরা কথা বলতে চাননি।
পাশাপাশি, বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার সেই সমস্যা নেই। পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এমনিতেও হাতে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন জুলাই মাসে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিয়ে টাকা পেয়েছে। অক্টোবরে ফের আবেদন করা হবে। সরকারের কাছ থেকে ত্রৈমাসিকে টাকা পায় তারা। অনেক সময় এক, দু’মাস দেরি হলেও সেটা বিশ্ববিদ্যালয় চালিয়ে নিতে পারে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আগে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে দেরি হওয়ায় তাদের টাকা আটকে গিয়েছিল। কিন্তু আপাতত আর সেই সমস্যা নেই। তারাও প্রতি ত্রৈমাসিকে টাকা পায়। কোনও কোনও মাসে ট্রেজারিতে বিল জমা দিতে দেরি হওয়ার ফলে সেই টাকা আসতে দেরি হয়েছে।
প্রেসিডেন্সিতে এই বিষয়ে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই খবর। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন বাবদ অর্থ সরকারের কাছ থেকে পেয়ে গিয়েছি। এ ব্যাপারে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য রীতিমতো ফিনান্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এই বিষয়টি নিয়ে লেগে থাকে। ছ’মাস আগে আমাদের শিক্ষক সংখ্যা ছিল ৬২। এখন তা বেড়ে ৯০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বেতন পেতে হয়ত কিছুটা দেরি হতে পারে। সিদো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, সরকারের টাকা সময়েই পেয়েছি। না পেলে আমাদের হাতে এমন অর্থ নেই যা দিয়ে তা সামাল দেওয়া যাবে। কোসা চালু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শিক্ষকদের ধরে ধরে বেতন বাবদ অর্থ পাঠায়। সেই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাধ্যমে শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে যায়। আগে মেইনটেন্যান্স গ্রান্ট হিসেবে থোক টাকা আসত।