কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
সূত্রের দাবি, আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভার জন্য তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনের তরফে মোট ১৫ হাজার কার্ড বিলি করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এবারের বৈঠকে কেবলমাত্র স্থায়ী সরকারি চাকুরেদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অস্থায়ী কিংবা চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা এদিনের বৈঠকে থাকবেন না। শুধু তাই নয়, আমন্ত্রণপত্র কিংবা কার্ড জালিয়াতি রুখতে বিশেষ হলোগ্রাম লাগানো হয়েছে সেখানে। কার্ডের সঙ্গে ফেডারশনের তরফে আমন্ত্রিতদের বিশেষ ব্যাজ দেওয়া হচ্ছে। তারপরও বাইরের লোক যাতে কোনওভাবে এই সভায় ঢুকতে না পারেন, তার জন্য আমন্ত্রিতদের সরকারি পরিচয়পত্র (আই কার্ড) নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরিচয়পত্র ছাড়া কোনও ব্যক্তিকে এদিন নেতাজি ইন্ডোরে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে আয়োজক সংগঠনের তরফে। কর্মীদের মধ্যে এই সভা ঘিরে তৈরি হওয়া বিপুল উৎসাহের জন্য ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র এবং ইডেন গার্ডেন্সের বাইরে জায়েন্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের অন্যতম আহ্বায়ক দিব্যেন্দু রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কর্মীদের আস্থা ও বিশ্বাস অটুট রয়েছে। তাই তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য কর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, আজ পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে সবাইকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর ঐতিহাসিক ভাষণ শোনার সুযোগ করে দিতে পারছি না।
এদিকে, অপর কর্মচারী সংগঠনগুলির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। আইএনটিইউসি অনুমোদিত কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশন এবং বকেয়া ডিএ নিয়ে কর্মীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কারণ, সম্প্রতি ডিএ মামলায় আদালত কর্মীদের এই দুই ন্যায্য পাওনাগন্ডা নিয়ে সুনির্দিষ্ট রায় দিয়েছে। যা আজ না হোক, দু’দিন পর রাজ্য সরকারকে কার্যকর করতেই হবে। অন্যদিকে, কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিনহার কথায়, ভারতবর্ষের সমস্ত রাজ্যের কর্মীরা এবং কেন্দ্রীয় চাকুরেরা সংশোধিত বেতনক্রম এবং মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে গত চার বছর ধরে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কাজ চলছে। এই মুহূর্তে প্রায় ৪১ শতাংশ ডিএ পাওনা রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। রীতিমতো হতাশার সুরে তিনি বলেন, অনেক হয়েছে, আর দেরি করা সম্ভব নয়। আশা করব, এদিনের সভা থেকে কর্মীদের হকের পাওনা অনেকটাই মিটিয়ে দেওয়া হবে। একইভাবে স্টিয়ারিং কমিটির রাজ্য সম্পাদক সঙ্কেত চক্রবর্তীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী আজ ওনার দলের একটি শাখা সংগঠনের আমন্ত্রণে নেতাজি ইন্ডোরে যাবেন। সেই সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা ঘোষণা করবেন, তার প্রশাসনিক বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সঙ্কেতবাবু।