উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
অতীতে ছিল উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল। পরবর্তীতে এটি সুপার স্পেশালাটি হাসপাতাল এবং বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স থেকে নিজস্ব গাড়ি– কোনওটাই নেই। সবেতেই ভাড়া গাড়ির উপর নির্ভর করতে হয়। এজন্য মাসে মোটা টাকা ভাড়াও গুনতে হয় মেডিক্যাল কলেজকে। উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের পরীক্ষা শিবির, রক্তদান শিবির এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ– এই তিনটি বিভাগেই ছয় মাসে লক্ষাধিক টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে। হাসপাতালের নিজস্ব গাড়ি না থাকায় ভাড়া গাড়িতেই রক্তদান শিবির থেকে থ্যালাসেমিয়া বাহক পরীক্ষা শিবিরে যেতে হয় হাসপাতালের কর্মীদের।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুমূর্ষু রোগীদের জন্য রক্তদান শিবিরে যাওয়া আসা থেকে রোগীদের জন্য বিভিন্ন জরুরি ওষুধ ও সামগ্রী আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও মাসে মোটা টাকা গুনতে হয় মেডিক্যাল কলেজকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মীদের মতে, সারা বছরে যত টাকা গাড়ির ভাড়া হিসেবে দেওয়া হচ্ছে, তা দিয়ে হাসপাতালের নতুন গাড়ি কেনা হয়ে যেত।
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল তথা হাসপাতাল সুপার ডাঃ শুভ্রা মণ্ডল। তিনি জানান, হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স এবং নিজস্ব গাড়ি না থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছে। এই ব্যাপারে স্বাস্থ্যদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমস্যা মিটে যাবে। নিজস্ব চিত্র