উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক নির্দেশ, শহরকে বেআইনি দখলদার মুক্ত করতে হবে। হকারদের জন্য পৃথক জোন ও তাঁদের মালপত্র রাখার গোডাউন তৈরি করে দিতে হবে। এই আবহে সামনে এল বউবাজার চত্বরের এই আপাত-অদ্ভুত ঘটনা। দু’টি বাড়ির মধ্যবর্তী অংশে চার ফুট চওড়া ও প্রায় আট ফুট লম্বা ফাঁকা জায়গা ‘ভাড়া’ দেওয়ার ব্যবসা চলছে। জায়গাটি কার, তা নিয়ে সংলগ্ন দু’টি বাড়ির লোকজন নিশ্চুপ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বাড়ির সদস্য জানান, ওই জায়গা তাঁদের নয়। কে, কেন, কীভাবে গোডাউন করেছেন সেখানে, তাও তাঁর অজানা। আরেকটি বাড়ির কেউ কথাই বলতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে আশপাশের দোকানদারদের মুখেও কুলুপ।
উল্টো দিকের একটি কার পার্কিংয়ের কর্মী জানান, এই প্যাসেজে আগে অ্যাসবেস্টসের ছাউনি বা টিনের দরজা, কিছুই ছিল না। ফুটপাতের ফলওয়ালারা সাধারাণত ফলের ঝুড়ি রাখতেন সেখানে। তারপর আচমকা একদিন ছাউনি হয়ে গেল। ‘গোডাউন’ নিরাপদ করতে বসল টিনের দরজা। তবে ওই জায়গায় যে একটি দরজা রয়েছে, তা এক ঝলকে বোঝাই দায়! কারণ, টিনের উপর লাগানো রয়েছে একটি বিজ্ঞাপনী পোস্টার, যাতে মনে হয় পুরোটাই একটি দেওয়াল। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, ফল ব্যবসায়ীরাই তাঁদের জানিয়েছেন, ওই জায়গায় ফলের ঝুড়ি, শুকনো খড়, শোলা ইত্যাদি রাখার জন্য মাসে প্রায় দু’হাজার টাকা গুনতে হয়। তবে কলকাতা পুলিসের দাবি, ওই এলাকায় বেআইনি দখলদারি নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে থেকেই এই জায়গাগুলি এমন অব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পুর-কর্তৃপক্ষকে জানাব।’