কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
ওইদিন বিকেলের পর থেকেই মনশুকা-১ পঞ্চায়েত এলাকার আনন্দপুর গ্রামে একটি টোটোয় মাইক বেঁধে প্রচার করতে দেখা যায়। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, পঞ্চায়েতের কোনও বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করা হচ্ছে ভেবে প্রথমদিকে কোনও গুরুত্ব দেননি। পরে দেখা যায়, ওই এলাকার বিজেপি নেতা রাহুল কারক কাগজে লেখা বয়ান হাতে নিয়ে পড়ে বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করে চলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা গোপাল কারকও। এভাবে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করা হয়।
রাহুল আনন্দপুর গ্রামের বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্ট হয়েছিলেন। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পর বিজেপি নেতাদের আর পাত্তা নেই। কথামতো টাকাও দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। রাহুলের দাবি, বিজেপি নেতারা মোটা টাকার টোপ দিয়ে দলের কাজে লাগিয়েছিলেন। সেইমতো তাঁরা রাতদিন এক করে ভোটের কাজে পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু ভোট মিটতেই আরও কারও দেখা নেই। মিলছে না টাকাও। রাহুল বলেন, বিজেপি প্রতারকের দল। উপর থেকে নিচুতলার নেতারা ধাপ্পাবাজ। সাধারণ মানুষের কাজের কাজ কিছু করে না। সেজন্য আমার মোহভঙ্গ হয়েছে। আমি তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে চাই।
ঘাটালের বিধায়ক বিজেপির শীতল কপাট বলেন, আমরা কোনও কর্মীকে টাকা দিয়ে দলের কাজ করাই না। রাহুল যে অভিযোগ করছেন তা ঠিক নয়। রাহুল এবার পোলিং এজেন্ট ছিলেন। ভোটের ফল বেরনোর পর ওদের পরিবারের উপর সন্ত্রাস শুরু করে তৃণমূল। সেজন্য বাধ্য হয়েই ওকে মাইক নিয়ে প্রচার করতে হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তৃণমূলের জেলা কমিটির নেতা পঞ্চানন মণ্ডল বলেন, ঘাটাল ব্লকে সন্ত্রাসের কোনও পরিবেশ নেই। রাহুলের পরিবারকেও চাপ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। ওঁরা নিজেরাই ওই কাজ করছেন।