কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা প্রণয়নের ফলে দেশের নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের উপর সরাসরি কোনও প্রভাব এখনও পড়েনি। তা সত্ত্বেও দেশজুড়ে এই নতুন ফৌজদারি আইন নিয়ে চর্চা চলছে সব মহলেই। ৪২০’এর মতো ‘ফোর নাইনটি এইট এ’ (৪৯৮এ) নিয়েও ঠাট্টা ইয়ার্কি চলত। নতুন আইনে বধূ নির্যাতনের সেই ধারাও গিয়েছে বদলে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, নয়া ধারাটি হল, ৮৫। সোমবার ব্যাঙ্কশাল স্ট্রিটের সামনে দাঁড়িয়ে মধুমিতা সামন্ত নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘স্বামী সংসারের কাজ না করলে ঠাট্টা করে বলতাম, বাজার না গেলে কিন্তু ৪৯৮এ কেস করে দেব। এখন কী ধমক দেব বলুন তো? ৮৫ শুনতে কেমন যেন! ভালো লাগছে না।’
ন্যায় সংহিতা নিয়ে সোমবারই কলকাতা পুলিসের সদরদপ্তর লালবাজারে একটি ভিডিও কনফারেন্স হয়। উপস্থিত ছিলেন আইনজীবীরাও। নয়া আইনের ব্যবহারিক প্রয়োগ কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। ছিলেন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরাও। জানা গিয়েছে, প্রথম দিনেই কলকাতা পুলিস এলাকায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযাীয়, দু’শোর মতো মামলা রুজু হয়েছে। নতুন আইনে বলা, যদি কোনও ঘটনা ৩০ জুলাই রাত ১২টার আগে ঘটে বা ঘটনার প্রক্রিয়া শুরু হয়, সেক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ীই মামলা হবে। কিন্তু ওই মামলায় সিআরপিসি বা ফৌজদারি আইন লাগু হবে না। সেখানে যুক্ত হবে বিএনএসএস বা ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। শুধুমাত্র এক জুলাইয়ের পরের (৩০ জুলাই রাত ১২টার পর) ঘটনার ক্ষেত্রে মামলা রুজু হবে ন্যায় সংহিতার ধারা অনুযায়ী।
এদিন ব্যাঙ্কশাল, আলিপুর ও শিয়ালদহ আদালতে কালো ব্যাজ পড়ে সংহিতার বিরোধিতা করেন আইনজীবীরা। আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা সুব্রত সর্দার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতি ভ্রান্ত। বিএনএস বিচারপ্রার্থীদের সমস্যায় ফেলবে।’ ব্যাঙ্কশাল বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা বিজয়শঙ্কর চৌবের বক্তব্য, ‘সোমবার আমরা সব মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলাম। তবে যাঁরা মামলা চালিয়েছেন তাঁদের বাধা দেওয়া হয়নি।’