কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন শাহনাওয়াজ বেগম নামে এক মহিলা রোগী। তিনি পার্ক সার্কাসের ব্রাইট স্ট্রিটের বাসিন্দা। অভিযোগপত্রে বলেছেন, ন্যাশনাল মেডিক্যালে তাঁকে, তাঁর মেয়ে, দুই ছেলে, স্বামী, ভাইকে নৃশংসভাবে লাঠি দিয়ে পেটায় পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। ওইদিন দুপুর ১২টা নাগাদ বুকে ব্যথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। ইমার্জেন্সিতে দু’টি ইঞ্জেকশন দেন নার্সরা। তারপরও আরও একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তা দেওয়ার পরই তাঁর ব্যথা বেড়ে যায়। কেন এমন হল, তিনি শুধু এটুকুই জানতে চেয়েছিলেন। পরিবর্তে প্রথমে জোটে দুর্ব্যবহার। চড়া গলায় নার্স চিৎকার করে বলেন, ‘ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন।’ তারপর শুরু হয় লাঠির বাড়ি। ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরাও তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই রোগী। এ বিষয়ে যুগ্ম কমিশনার (হেডকোয়াটার্স) মীরাজ খালিদ বলেন, ‘ওই রোগিণী এবং তাঁর পরিজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসক, কর্মী, পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। ’সেজন্য সিভিক, হোমগার্ডরা কি লাঠিচার্জ করতে পারে? যেখানে উচ্চ আদালতের রায় আছে, সিভিক ভলান্টিয়াররা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করতে পারবে না। সেখানে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? জবাবে পদস্থ পুলিসকর্তা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি।’ এদিকে রোগী ও তাঁর পরিজনদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন এক চিকিৎসক এবং হাসপাতালের এক বেসরকারি রক্ষী।