কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ উদয়ন হস্টেল পরিদর্শনে যায় ফরেন্সিক। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা, সায়েন্টিফিক উইং ও মুচিপাড়া থানার আধিকারিক ও হস্টেলের সুপার শতদীপ বিশ্বাস। হস্টেলের সবকটি ঘর খতিয়ে দেখেন তাঁরা। পুলিস সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন ছাত্র শঙ্কর বর্মনকে জেরা করে জানা যায়, হস্টেলের দোতলার ‘ধোলাই-ঘর’এর হদিশ। এদিন প্রথমে সেই ঘরেই যান তদন্তকারীরা। ঘরের ছবি তোলা হয়। ঘরের একটি চেয়ারের পায়ার নীচে মিলেছে একগোছা চুল। তাও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সেই চুল মৃত ইরশাদের কি না, তা নিশ্চিত হতে নমুনা ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। লালবাজার জানিয়েছে, যে কেকের দোকান থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ডিলিট করা হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারের জন্য ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রায় চার ঘণ্টার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, সেই নারকীয় অত্যাচারের ভিডিও ধৃত কয়েকজন ছাত্রের ফোনে রয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের আগে তা ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলিও পুনরুদ্ধারের জন্য পাঠানো হবে ল্যাবে।
অন্যদিকে, এদিন হস্টেলের সুপারকে লালবাজারের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁকে প্রাক্তন ছাত্রদের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। গোয়েন্দাদের প্রশ্ন— কেন প্রাক্তনীরা সেই হস্টেলে ছিলেন? তাঁদের থাকার বিষয় সম্পর্কে সুপার অবগত ছিলেন কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়। ঘটনার বিষয়টি তিনি কখন, কীভাবে জানতে পারেন, এই সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সুপারের উত্তর সম্পর্কে এখনই কোনও মুখ খুলতে নারাজ গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় অসহযোগিতা করছেন অভিযুক্তরা। ধৃতরা হস্টেলের যে গার্ডের কথা উল্লেখ করেছে, তিনি আদৌ নিরাপত্তারক্ষীই নন। ওই ব্যক্তি হস্টেলের সঙ্গে যুক্তই নন। আদতে হস্টেলের গার্ড অন্যজন। কিন্তু, তিনি সেখানে থাকেন না। আসল গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে পুলিস। লালবাজার সূত্রে খবর, ওই হস্টেলে বর্তমান ছাত্র ছাড়াও অনেক প্রাক্তন ছাত্ররাও থাকতেন। কীভাবে তাঁরা থাকতেন, তাও তদন্তসাপেক্ষ।