কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
স্বামী নারায়ণ মন্দিরের স্বামী জ্ঞানবৎসল আমন্ত্রিত ছিলেন প্রধান বক্তা হিসেবে। আয়োজকদের দাবি, শেষ মুহূর্তে তিনি মেয়েদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিছু করার ছিল না সেইসময়। বাধ্য হয়ে মেয়েদের প্রথম পাঁচটি সারণি ছেড়ে বসতে বলা হয়। সেই তালিকায় ছিলেন শিক্ষিকা এবং বিশেষজ্ঞরাও। আচমকা এই আজব নির্দেশে স্বেচ্ছাসেবকদের কার্যত গ্রিনরুমেই আটকে থাকতে হয়। মজার বিষয় হল, আইসিএইআই প্রতিষ্ঠানটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা সিএ হিসেবে মেয়েদের এগিয়ে আসা নিয়ে গর্ব করে। অন্তত ৪২ শতাংশ সিএ এখন মহিলা। প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট রঞ্জিৎকুমার আগরওয়ালও এ নিয়ে সেই অনুষ্ঠানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। প্রতি তিনজনের একজন হলেন মহিলা সিএ। এই যেখানে ছবি, সেখানে মেয়েদের সরিয়ে দেওয়ার চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক কিছু হয় না। এ নিয়ে সরব হয়েছে সিএ পেশাদারদের একটি অনলাইন মিডিয়াও। সেখানে এরকম একটি অ্যাকাডেমিক অনুষ্ঠানে আধ্যাত্মিক গুরুকে ডাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সেখানে কেউ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ স্লোগানটি যে স্রেফ স্লোগান হিসেবেই রয়ে গিয়েছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।
কেউ কেউ অবশ্য আধ্যাত্মিক বক্তারই পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, মেয়েদের পোশাকের সংস্পর্শে এলেও ব্রহ্মচারীদের তিনদিন নির্জলা উপবাস করতে হয়। ফলে, তিনি এটা চাইতেই পারেন। বরং এই দিকটি প্রতিষ্ঠানেরই আগে ভাবা উচিত ছিল।
কিন্তু এরকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে মেয়েদের ফেলা হল কেন? ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইসিএআই-ইআইআরসি’র চেয়ারম্যান সঞ্জীব সংঘি বলেন, এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন একমাত্র সংস্থার প্রেসিডেন্ট। সভাপতিকে ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপ করেও উত্তর মেলেনি। যোগাযোগ করা যায়নি স্বামী জ্ঞানবৎসলের সঙ্গেও।