বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
বিকেল ৪টে ১৫ মিনিট। গরম হাওয়া বইছে। মিনাখাঁর আটপুকুর এলাকায় হাজির হলেন নুসরত। পরনে লাল পাড়ের উপর ছোট্ট কালো প্রিন্টের শাড়ি। গরমের তাপ এড়ানোর জন্য কালো ফুলস্লিভ ব্লাউজ। পিছনের গাড়িতেই সোহম। পরনে তুঁতে রঙের পাঞ্জাবি। দু’জনের পোশাকের উপর আটকানো তৃণমূলের ঘাসফুল ব্যাজ। রোড শো শুরু। রাস্তার দু’পাশে মানুষের মানুষে ছয়লাপ। শিশু থেকে বয়স্ক। মূল রাস্তা ছাড়িয়ে নুসরতের গাড়ি এগচ্ছে। মাথা নিচু করার জন্য দলীয় কর্মীরা সচেতন করে দিচ্ছেন মাঝে মাঝে। কারণ, রাস্তার ধারে ধারে বাবলা গাছের ছড়াছড়ি। একটি হাই মাদ্রাসার কাছে শতাধিক মহিলা দাঁড়িয়ে ছিলেন ফুলহাতে। নুসরতের গাড়ি সামনে আসতেই শুরু হল পুষ্পবৃষ্টি। নুসরত মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা সবাই ভাল আছেন তো? মহিলারাও সঙ্গে সঙ্গে ঘাড় নেড়ে জানালেন—হ্যাঁ। তৃণমূল প্রার্থী বললেন, আজেবাজে কাউকে ভোট দেবেন না। আমাকেই ভোটটা দেবেন। আমি সবসময় আপনাদের পাশে থাকব।
আটপুকুর থেকে ঘুরে বিদ্যাধরী নদীর পাশ দিয়ে সরু ঢালাই রাস্তা। গাড়ি ঢুকল সেখানেই। সেখানেও পিল পিল করছে ভিড়। ছবি তোলার একই আর্জি। ভিড়ের মধ্যেই নুসরত পিছনের দিকে আঙুল দেখিয়ে বললেন, আমার সঙ্গে সোহমও এসেছে। সোহমও হুডখোলা গাড়ি থেকে ভিড়ের দিকে তাকিয়ে বলে যাচ্ছিলেন, ভোটটা নুসরতকেই দিতে হবে কিন্তু। ছবি তোলার আর্জি থেকে বাদ যাননি সোহমও। চারাবাড়ি গ্রামে প্রার্থী ঢুকতেই শঙ্খধ্বনি ও পুষ্পবৃষ্টি। আটপুকুর হয়ে ফেরার সময় শতশত মানুষের পুষ্পবৃষ্টির পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে, অভিনেত্রীর চোখে-মুখে ফুল এসে লাগছিল সজোরে। তাই মাইকে করে অনুরোধও করতে হচ্ছিল দলীয় কর্মীদের— ফুল ছুঁড়বেন না প্লিজ, ফুল হাতে দিন।
সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঢুকলেন মোহনপুরে। সেখানে তখন রাস্তার দু’পাশে শুধু কালো মাথার ভিড়। মুচিখোলা গ্রামে প্রার্থীকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনাও দিলেন গ্রামের মানুষ। উপহার হিসেবে কেউ আবার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও দিলেন নুসরতকে। রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার সেরে কলকাতায় ফিরলেন তিনি। এমনিতেই তিনি কম খান। তার উপর গরম। ফেরার সময় বললেন, রোজা ভাঙার পর খেজুর, ওআরএস, ড্রাই কেক আর শশা খেলাম। মানুষের এই উন্মাদনা দেখে সত্যিই আপ্লুত।