বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে বামনঘাটা পঞ্চায়েতের হাটগাছা গ্রামে আচমকাই মুড়ি মুড়কির মতো বোমা ফাটতে থাকে। সিপিএমের এক নেতার অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত লোকজন বেশ কিছুদিন ধরে শাসাচ্ছিল, যাতে ভোটের দিন কেউ বের না হই। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের হয়ে প্রচার করছিলেন তাঁরা। সেই আক্রোশ মেটাতে গভীর রাতে সিপিএমের অনুগতদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। গুলি চালানো হয়। শেষে সিপিএমের লোকজন সম্মিলিতভাবে বাইরে বেরিয়ে প্রতিরোধ করায়, পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বোমায় একজনের বাড়ির টালি ভেঙেছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিস যায়। বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। ভোটের আগে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য সিপিএম মিথ্যা নাটক করছে বলে দাবি তৃণমূলের।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে বেওতা-১ পঞ্চায়েত এলাকায় শাসকদলের আরাবুল, ওহিদুল ও নান্নু শিবিরের লোকজনকে নিয়ে একটি সভা হয়। সেখানে আচমকা কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। এরপর চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। আরাবুল শিবিরের অভিযোগ, যুব দলের লোকজন কোনও কারণ ছাড়াই কয়েকজনের গায়ে হাত তুলেছে। পাল্টা যুব শিবিরের পক্ষ থেকে আরাবুল ইসলামের অনুগতদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলা হয়। ওই ঘটনার জেরে সভা বানচাল হয়ে যায়। ওই ঘটনার রেশ চলে রবিবারও। এদিন বেওতা-১ এর যুব সভাপতি কামিরুল ঘরামির বাড়িতে চড়াও হয় আরাবুল শিবিরের লোকজন। ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাতে যুব সভাপতির মাথা ফাটে। খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও তৃণমূল ওই গোলমালের খবর অস্বীকার করেছে। এদিকে, এদিন বিকেলে দক্ষিণ গাজিপুরে সিপিএমের ৫০ জন সমর্থক আরাবুল ইসলামের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে।