বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত লেক গার্ডেন্স এলাকায়। একটি পরিবারকে নিয়ে ওই গাড়িটি দক্ষিণ কলকাতা থেকে পার্ক স্ট্রিটে একটি হোটেলের দিকে আসছিল। তদন্তে উঠে এসেছে, গাড়ির সামনে দুটি বাইকে ছিল চার যুবক। তাদের নিজেদের মধ্যে একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছিল। গাড়িটি সাইড চেয়ে হর্ন দিলেও তাতে কান দেয়নি বাইকে থাকা যুবকরা। গাড়িটি তখন দ্রুতগতিতে বাইক দু’টি টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাতে ওই যুবকরা বাইক থেকে নেমে গাড়িটির পথ আটকায়। দু’পক্ষের মধ্যে এই নিয়ে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর গাড়ির চালক বাইক বাহিনীকে টপকে গাড়ি নিয়ে চলে যান। তাতে বাইকে সওয়ার যুবকরা রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গাড়িটির পিছু ধাওয়া করে তারা পার্ক স্টিটে পৌঁছয়। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা এই এলাকার একটি নামী হোটেলে খাওয়াদাওয়া করতে চলে যান। এদিকে, বাইরে বাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিল ওই যুবকরা। মিনিট চল্লিশেক পর গাড়িটি হোটেল থেকে বেরোনোর পরই সেটিকে ঘিরে ধরে বাইক বাহিনী। এবার গাড়ি ঘিরে রাস্তায় তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে গাড়ির চালককে, গাড়িতে থাকা অন্যদেরও মারধর করা হয়। গভীর রাতে এমন ঘটনা দেখে অনেক গাড়ি নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে আসে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিস। তবে তার আগেই এলাকা ছেড়ে পালায় বাইকে থাকা যুবকরা। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের অভিযোগ, তাঁদের বেধড়ক কিল-চড়-ঘুসি মারা হয়েছে। এমনকী সোনার চেনও ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা। এরপর তদন্তে নেমে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে বাইকের নম্বর জোগাড় করার চেষ্টা করছে পুলিস। তবে শহরের রাস্তায় যেভাবে দাদাগিরি দেখাল বাইকে থাকা যুবকদের দল, তা রীতিমতো উদ্বেগের বলেই মনে করছেন অফিসাররা। শীঘ্র তাদের ধরা না গেলে এমন ঘটনা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা তাঁদের।