শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আইলার পর মিনাখাঁ এবং আশপাশ এলাকার বহু মানুষ কাজের টানে পশ্চিম বর্ধমান এলাকায় পাথর খাদানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁরা বেশ কয়েক মাস কাজ করেন। তারপরই অসুস্থ হতে শুরু করে। অসুস্থ হয়ে অনেকে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাঁরা জানতে পারেন, পাথর খাদানে কাজ করতে গিয়েই তাঁরা সিলিকোসিস নামক এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, মিনাখাঁয় এখনও অনেকে সিলিকোসিসে অসুস্থ রয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসাও চলছে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেকে সর্বস্বান্তও হয়েছেন। মৃত্যু মিছিল চলছে। মৃতদের পরিবার এবং আক্রান্তদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা করুণ। তাঁরা আরও বলেন, মৃত সালাউদ্দিন মোল্লার ভাই নাসির মোল্লাও একই রোগে তথা সিলিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ রয়েছেন। তিনি দাদার সঙ্গেই পশ্চিম বর্ধমানের পাথর খাদানের কাজে গিয়েছিলেন। দু’জনেই অসুস্থ হন। দাদার মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসতেই কান্নার রোল উঠে।
এ ব্যাপারে মিনাখাঁর বিডিও শেখ কামরুল ইসলাম বলেন, যিনি মারা গিয়েছেন সেই সালাউদ্দিন মোল্লা একটু বেশি অসুস্থ ছিলেন। উনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন। তবে, এখন যাঁরা সিলিকোসিসে অসুস্থ রয়েছেন তাঁরা কিছুটা ভাল রয়েছেন। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিমাসে মাসে আক্রান্ত এলাকায় অসুস্থদের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প করি। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে তিনি বলেন, এর আগে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। আমরা সমস্ত রকম পদক্ষেপ নিয়েছি। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।