শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের মতে, অনেকেই ভেবেছিলেন, বিজেপি অনুপম হাজরাকে বোলপুর থেকেই পদ্মফুল প্রতীকে দাঁড় করাবে। কিন্তু তা না করে তাঁকে যাদবপুর থেকে এবার দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির। এদিন প্রচারে অনুপম হাজরা বলেন, বোলপুরের মানুষ জানেন, আমি কতটা উন্নয়ন করেছি। কাজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম গাফিলতি করিনি। উন্নয়নকেই আমি সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। নরেন্দ্র মোদি দেশকে পাল্টেছেন। আমি যাদবপুরকে পাল্টাতে চাই। তাই আমি জানি, এখানকার মানুষ আমার সঙ্গেই থাকবে। আমি জিতব। তবে এদিন প্রচারের শুরুতেই দু’-একজন বিজেপি কর্মীর সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন প্রৌঢ়ের বাদানুবাদ হয় যাদবপুর মার্কেটের কাছে। ওই কর্মীরা অনুপমবাবুকে নিয়ে প্রচার করার সময় এক জায়গায় এসে বলেন, যাদবপুরের পরিস্থিতি আগের থেকে খারাপ হয়েছে। যা শুনে স্থানীয় দু’-একজন প্রৌঢ় রেগে যান। তাঁরা বলেন, যাদবপুরের পরিস্থিতি খুব ভালো রয়েছে। এভাবে ভুল তথ্য দিচ্ছেন কেন তাঁরা? আগের থেকে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। তাঁরা এখানকার লোক। তাই তাঁরা জানেন, কী ছিল, এখন কী হয়েছে। যদিও বাদানুবাদ বড় আকার নেয়নি। এরপর এলাকার বিভিন্ন অংশে ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। মানুষের পাশে থাকা আশ্বাস দেন তিনি। বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।
এদিকে, এদিন টালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যুর অ্যাভিনিউয়ের শান্তিনগর কলোনির মাঠে কর্মিসভা করেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, কাউন্সিলার মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ চক্রবর্তী, তপন দাশগুপ্ত, দেবব্রত মজুমদার, গোপাল রায়, অনিতা কর মজুমদার সহ ১০ এবং ১১ নম্বর বরোর শাসকদলের অন্যান্য কাউন্সিলার। টালিগঞ্জ বিধানসভার এই এলাকাটি মূলত স্টুডিওপাড়া বলেই খ্যাত। সেখানে একজন টলিউডের শিল্পী প্রার্থী হয়েছেন। তাই তাঁকে জেতানোর জন্য অরূপ বিশ্বাস স্থানীয় মানুষদের কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, গত লোকসভা ভোটে সাতটি বিধানসভার মধ্যে টালিগঞ্জ ষষ্ঠ হয়েছিল। কিন্তু এবার আমাদের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে, টালিগঞ্জ তৃণমূল প্রার্থীকে লিড দেওয়ার ক্ষেত্রে এক নম্বর হবে। তিনি কর্মী-সমর্থকদের কাছে সেই প্রতিজ্ঞা দাবি করেন। একইসঙ্গে বলেন, তৃণমূল নেত্রীর আশীর্বাদধন্য মিমি চক্রবর্তী ‘ঘরের মেয়ে’। তাই তাঁকে ভোটে জেতানোর জন্য তিনি আর্জি জানান। আবার তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী হাতে মাইক নিতেই হাততালিতে এবং মানুষের চিৎকারে সভাস্থল ফেটে পড়ে। তিনিও মানুষের থেকে আশীর্বাদ চান। পাশাপাশি, প্রত্যেকের অনুরোধে চার লাইন গানও গেয়েছেন তিনি।
বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াও এদিন প্রচার সারেন বাম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বারুইপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় তিনি প্রচার করেন। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, যাদবপুরে তারা প্রার্থী দিচ্ছে না। তারা বাম প্রার্থীকে সমর্থন করবে। স্বাভাবিকভাবে তাতে আরও উজ্জীবিত বাম শিবির। এদিন বারুইপুরের একাধিক এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে হাত মেলান। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ভোটে জেতানোর আবেদন করেন।