পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
কী পরিস্থিতি বাস্তবে? ধরা যাক সিটি কেবলের কথাই। এখানকার কর্তা সুরেশ শেঠিয়ার কথায়, দর্শকদের থেকে পছন্দের চ্যানেলগুলির তালিকা নেওয়ার কথা অপারেটরের। আবার কোনও দর্শক চাইলে আমাদের অ্যাপটি মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করে, সেখান থেকে চ্যানেল পছন্দ করতে পারেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা প্রায় ৫০ শতাংশ দর্শকের পছন্দের তালিকা পেয়েছি। কিন্তু বাকি ৫০ শতাংশ কি আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে হওয়া সম্ভব? সুরেশবাবুর কথায়, যদি দর্শক তা না করেন, তাহলে তাঁরা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুধুমাত্র ফ্রি টু এয়ার চ্যানেলগুলি দেখতে পাবেন। পরে তিনি তাঁর সুবিধা মতো চ্যানেল পছন্দ করে আমাদের জানাবেন। সেই মতো আমরা তা চালু করব।
রাজ্যের অপর কেবল সংস্থা জিটিপিএল-কেসিবিপিএলের কেবল গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। এখানকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিজয় আগরওয়াল বলেন, দর্শকরা আমাদের কাছে যে তালিকা পাঠিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তার মাত্র সাত থেকে আট শতাংশ আপলোড করতে পেরেছি। সেই বিষয়ে আমরা দ্রুত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বহু দর্শক এখনও চ্যানেল পছন্দই করেনি। সেক্ষেত্রে কি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টিভি দেখা বন্ধ হবে? বিজয়বাবু বলেন, তা নয়। আমরা প্রিপেড মোডে পেমেন্ট নিই। সেখানে যে দর্শকের সেট টপ বক্স যেদিন পর্যন্ত ‘ভ্যালিড’ আছে, অর্থাৎ যিনি যত দিন পর্যন্ত টাকা দিয়ে রেখেছেন, তাঁরা ততদিন সেই চ্যানেল প্যাক’ই দেখবেন। অর্থাৎ কারও প্যাকেজের মেয়াদ যদি ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকে, তিনি ওই দিন পর্যন্তই চ্যানেল দেখবেন। তারপর তাঁকে নতুন নিয়মে চ্যানেল পছন্দ করতেই হবে। আমাদের আবেদন, যাঁর প্যাকেজের যেদিন পর্যন্ত মেয়াদ আছে, তার অন্তত ১০ দিন আগে তিনি চ্যানেল পছন্দ করুন। তাহলে গোটা কাজটি সুষ্ঠুভাবে হবে।
একাধিক কেবল সংস্থার আওতায় থাকা কেবল অপারেটরা এখনও যেমন বিষয়টি নিয়ে গাছাড়া ভাব দেখাচ্ছেন, তেমন দর্শকরাও গড়িমসি করায় আগামী দিনের জন্য অশনি সঙ্কেত দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের বক্তব্য, এরপর হুড়োহুড়ি করে ৩১ জানুয়ারি রাতে দর্শকের চ্যানেল পছন্দের বিষয়গুলি সিস্টেমে আপলোড করতে গেলে বিপত্তি হতে পারে। যান্ত্রিক গোলযোগ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। সেক্ষেত্রে টিভি দেখায় কোনও সমস্যা হলে দর্শক ক্ষুব্ধ হবেন। তাতে অশান্তি বাড়তে বাধ্য।