পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
মাঘ ও ফাল্গুন বিয়ের মরশুম। এই সময় মাছের চাহিদা সর্বাধিক থাকে। সাধারণ সময়ে প্রতিদিন গোটা রাজ্যে গড়ে ১৩ থেকে ১৫ মেট্রিক টন কাতলা মাছের চাহিদা থাকে। কিন্তু, বিয়ের মরশুমে সেই চাহিদা প্রায় ৩০ মেট্রিক টন পর্যন্ত চলে যায়। তার উপর এই সময় জোগান কমে যাওয়ায় মাছের দর বেশ কিছুটা বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বিয়ের মরশুমে কাতলা ও ভেটকি মাছের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও পাবদা ও চিংড়ি মাছও বিক্রি হয়। কিন্তু, কাতলা ও ভেটকি মাছ এই সময় জোগান কম হয়। তাছাড়া নভেম্বর মাসের শেষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ভেড়িতে জল বের করে দেওয়া হয়। নতুন করে মাছ চাষের জন্য এই সময় ভেড়ি শুকনো থাকে। মার্চ মাস থেকে ভেড়িতে জল ভরা শুরু হয়। ফলে এই সময় স্থানীয় ভেড়ির ভেটকি ও কাতলা মাছের জোগান কমে যায়। এখন মূলত অন্ধ্রপ্রদেশের কাতলা ও মুম্বইয়ের ভেটকির উপরই নির্ভর করতে হয়। তবে এবছর হিমঘরগুলিতে বর্ষার মরশুমে ভেটকি পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত থাকায় এখনও ভেটকির আকাল পড়েনি। তবে এখন ভালো সাইজের ভেটকি কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
হাওড়া ফিশ মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, শীতের সময় এমনিতেই মাছের জোগান কম হয়। তার উপর বিয়ের মরশুম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু, মাছের জোগান যথেষ্ট আছে। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছ আনার খরচ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। তাই দামও স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভেড়ি থেকে একটি বড় অংশের মাছ রাজ্যের বাজারে সরবরাহ হয়। কিন্তু, নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভেড়ির মাছ পাওয়া যায় না। তাই এখন অন্ধ্রের উপরই ভরসা করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস বলেন, আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাবদা মাছ রপ্তানি হত। এখন বাংলাদেশ থেকে পাবদা মাছ আমদানি হচ্ছে। স্থানীয় মাছের চেয়ে বাংলাদেশের মাছ অনেক ভালো মানের। তাই লোকজন বাংলাদেশের পাবদা মাছ বেশি পছন্দ করছেন। তবে বিয়ের মরশুমে কাতলা ও ভেটকি মাছের উপরই লোকজন বেশি নির্ভর করেন। সেই মতো এই দু’টি মাছের জোগান বাড়ানো হচ্ছে। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ৭ বছর আগের চেয়ে এখন আমাদের রাজ্যে মাছের উৎপাদন অনেক বেশি হয়েছে। আগামী দিনে মাছের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। বিয়ের মরশুম হওয়ায় মাছের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। কিন্তু, মাছের আকাল এই রাজ্যে নেই।