কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মালঞ্চপাড়ায় এক নম্বর টোটো স্ট্যান্ডে প্রায় ৭০টির মত টোটো আছে। তার মধ্যে প্রায় ৪০ টি টোটো সবসময় রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। এখানে একটি টোটো স্ট্যান্ড থাকলেও তা সব সময় ফাঁকাই পড়ে থাকে। স্থানীয় টোটো চালকরা জানান, পুরসভার পক্ষ থেকে এখানে একটি টোটো স্ট্যান্ড করে দেওয়া হলেও সেখানে নেই কোনও ছাউনি। নেই টোটো রাখার কোনও সুব্যবস্থাও। এর ফলে টোটো চালকরা বাধ্য হয়ে রাস্তার দুধারে টোটো দাঁড় করিয়ে রাখেন।
শুধু এই স্ট্যান্ডের টোটোই নয়, নবদ্বীপের বিভিন্ন এলাকার মানুষ শহরের মধ্য প্রান্তে অবস্থিত এই হল্ট থেকে টোটো ভাড়া করে ট্রেন ধরতে আসেন। সেই সব টোটোগুলি যত্রতত্র রাস্তার ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্যাসেঞ্জার ওঠানো নামানো করে। আর এর ফলে যানজট আরও বেড়ে যায়।
বিশেষ করে বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশনে হাওড়া- কাটোয়া শাখার আপ-ডাউনের ট্রেন যখন এসে থামে, সেই সময় যানজট আরও চরমে ওঠে। এছাড়া বেপরোয়া ওইসব টোটো রিকশার দাপটে প্রতিনিয়ত ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। টোটো চালক শম্ভু বৈরাগ্য বলেন, এখানে রেলের গেট পড়লে যানজট বেশি হয়। দু›দিকের গাড়ি এসে জড়ো হয়ে যায়। গেট ওঠার পর কে কার আগে যাবে এই নিয়ে তাড়াহুড়ো লেগে যায়। এখানে পূর্ব বর্ধমান জেলার শ্রীরামপুর, বিদ্যানগর, হেমায়েতপুর, পারুলিয়া সব এলাকার টোটোও ভিড় করছে। পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রচুর সংখ্যক টোটোও ঢুকে পড়ছে। সেই টোটো শহরে ঢোকা বন্ধ করতে হবে। বিষয়টি আমরা কাউন্সিলারকে বলেছি।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নির্মল দাস বলেন,রাস্তার উপর টোটো দাঁড়িয়ে থাকে ব্যবসায়ীদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। সারাক্ষণ দোকানের সামনে যানজট লেগেই আছে।
নবদ্বীপ পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বৃন্দাবন মন্ডল বলেন, পুরসভার চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে স্টেশন সংলগ্ন একটি খাস জমি, যেটা জবর দখল হয়ে গিয়েছিল, সেটি উদ্ধার করে একটি স্ট্যান্ড করে দেওয়া হয়েছে। কিছু টোটোচালকরা এখনও ওই স্ট্যান্ডে যাননি। তারা রাস্তাতেই টোটো দাঁড় করিয়ে রাখছেন। তার ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।