কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
অতনুবাবু বলেন, আমার নাম ও ছবি দিয়ে ফেক আইডি খুলে অনেককেই মেসেজ ও ফোন করা হচ্ছে। প্রতারণার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এনিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ জানাননি। অনেকেই মৌখিকভাবে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রতারিত ওই শিক্ষক বলেন, গত বৃহস্পতিবার মেসেঞ্জারে প্রথমে আমার ফোন নম্বর চাওয়া হয়। আমি ওই প্রোফাইলে বিষ্ণুপুর থানার আইসি অতনু সাঁতরার ছবি দেখে ভাবলাম, উনিই বোধহয় আমার নম্বর চাইছেন। সেই ভেবে আমি নম্বর দিয়ে দিই। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ফোন করা হয়। সন্দীপ কুমার বলে এক ব্যক্তি নিজেকে সিআরপিএফ অফিসার পরিচয় দেয়। হিন্দিতে বলে, আমার এক সহকর্মী দুর্গাপুর থেকে ট্রান্সফার হয়ে জম্মুতে পোস্টিং হয়ে গিয়েছে। আসবাবপত্রগুলি এত দূরে বয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাই কম দামে বিক্রি করে দেবে। আমি প্রথমে বললাম, আমার আসবাবপত্র বাড়িতে রয়েছে। তখন অন্য একটি নম্বর থেকে নিজেকে সন্দীপ কুমারের সহকর্মী সন্তোষকুমার বলে পরিচয় দেয়। কিছু আসবাবপত্রের ছবি পাঠায়। খাট, ড্রেসিং টেবিল থেকে শুরু করে শোফা, ডাইনিং টেবিল ছিল। সব মিলিয়ে অন্তত পাঁচ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র হবে। এক লক্ষ টাকা দাম বলে। শেষমেশ ৮৫হাজার টাকা রফা হয়। তার জন্য ওইদিনই ৫০শতাংশ টাকা অগ্রিম দিতে বলা হয়। কিন্তু, আমার কাছে অত টাকা ছিল না। আমি ওদের অনলাইনে ১৫হাজার টাকা পাঠাই। পরের দিনই মালপত্র পৌঁছে দিয়ে বাকি টাকা নিয়ে যাবে বলে জানায়।
পরের দিন ফোন করা হলে বলে সিকিউরিটি মানি হিসেবে আরও ২১হাজার টাকা লাগবে। তখনই আমার সন্দেহ হয়। আমি প্রতারিত হয়েছি বলে বুঝতে পারি। বিষ্ণুপুরের আইসির নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারকরা আমাকে ঠকাবে, তা বুঝতে পারিনি। বিষয়টি আইসি সাহেবকে মৌখিক জানিয়েছি। পুলিস যাতে উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয় সেই জন্য লিখিত অভিযোগ জানাব।