কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বহির্বিভাগে সপ্তাহে শুধুমাত্র সোমবার এই ইউনিট চলত। এখান থেকে চিকিৎসার পাশাপাশি ভর্তি এবং অস্ত্রোপচারও চলত। গত কয়েক বছর ধরে অনেকেই এখানে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন। অনেকের অস্ত্রোপচারের তারিখও দেওয়া হয়। কিন্তু, বিভাগের একমাত্র চিকিৎসকের মেয়াদ গত দু’সপ্তাহ আগে শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি ফিরে যান। ফলে আচমকা এই বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে এখানে দেখাতে আসেন। কিন্তু তাঁরা এসে বিভাগটি বন্ধ দেখতে পান। অনেকের এদিন অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। রোগী ও পরিজনদের অভিযোগ, বিভাগটি যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। ফলে তাঁদের বিভ্রান্ত হতে হয়েছে।
গত ২০মে আউশগ্রামের সুবল সরেনকে এই বিভাগে চিকিৎসকরা দেখেন। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে তাঁকে ভর্তি হওয়ার কথাও বলা হয়। সবকিছু করিয়ে তিনি সোমবার হাসপাতালে এসে দেখেন বিভাগ বন্ধ। আবার কবে চিকিৎসকরা তাঁকে দেখবেন সেবিষয়েও কোনও সদুত্তর কেউ দিতে পারছেন না বলে তিনি জানান। বীরভূমের সিউড়ি থাকে আসা মেঘনাশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ও গত মাসে এখানে চিকিৎসা করান। তাঁকে অনাময় হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানোর জন্য বলা হয়। রিপোর্ট করিয়ে এদিন তিনি এসে দেখেন বিভাগের দরজা বন্ধ।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে অত্যাধুনিক বার্ন ওয়ার্ডের সঙ্গেই প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ ঢেলে সাজা হবে।
পাশাপাশি, যে বিভাগ চলছিল সেই বিভাগ কয়েকসপ্তাহের মধ্যেই চালু হবে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি বন্দ্যোপাধায় বলেন, রাজ্যের তরফে আমরা চিকিৎসক পেয়েছিলাম। কিন্তু জুন মাসে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। এনিয়ে স্বাস্থ্যভবনে কথা বলা হয়েছে। খুব দ্রুত বিভাগ চালু হয়ে যাবে। তবে কোনও রোগী এখানে এলে আমরা কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেব।